মোল্লা জসিমউদ্দিন, মঙ্গলকোটঃ মঙ্গলকোট পুলিশের হেফাজতে অভিনব কায়দায় এটিএম কাউন্টার চোর।
শুক্রবার দুপুরে পূর্ব বর্ধমান জেলার কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পেশ করা হয় ধৃত সানি রাজবংশী নামে এক যুবক কে।
অভিনব কায়দায় এটিএম কাউন্টারে চুরির ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে থাকে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ। এদিন কাটোয়া মহকুমা আদালতে এসিজেম এজলাসে পুলিশের তরফে ১০ দিনের হেফাজত চাওয়ার আবেদন জানানো হলে ভারপ্রাপ্ত বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ জারি করেছেন।
পুজো মরশুমে বড়সড়ো অপরাধ রুখতে তৎপর মঙ্গলকোট পুলিশ। সম্প্রতি একটি গ্যাং মঙ্গলকোট থানা এলাকা জুড়ে বিভিন্ন এটিএম কাউন্টার থেকে টাকা তোলা সংক্রান্ত অপরাধ মূলক কাজে লিপ্ত থাকার ঘটনা সামনে আসছিল।
পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক নতুনহাটের এটিএম কাউন্টার ও কাশেমনগর এসবিআই ব্রাঞ্চ এটিএম কাউন্টারে এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসে।
কাশেমনগর এসবিআই ব্যাংকের ম্যানেজার প্রদ্যুৎ দত্ত মঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলকোট থানার পুলিশ সানি রাজবংশী নামে এক দুষ্কৃতিকে গ্রেফতার করে গত বৃহস্পতিবার রাতে।
সমগ্র মঙ্গলকোট থানা জুড়ে বিভিন্ন সড়কমোড়ে আইসি পিন্টু মুখার্জির উদ্যোগে সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। এই সিসিটিভির ভিত্তিতে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দুটি বাইক উদ্ধার করা হয়। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত চেয়ে ধৃত সানি রাজবংশীকে কাটোয়া আদালতে পাঠানো হয়। বিচারক ৭ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছেন।জানা গেছে সম্ভবত এই ঘটনার সঙ্গে চারজন দুষ্কৃতী যুক্ত। প্রথমে দুজন দুষ্কৃতি এটিএম কাউন্টার থেকে বেশ কিছুটা দূরে বাইক রেখে আসার পর, টাকা তোলার জন্য এটিএম কাউন্টারে প্রবেশ করে। কিছু সময় এটিএম কাউন্টারে সময় কাটানোর পর মেশিনের যে অংশ থেকে টাকা বেরিয়ে আসে সেখানে কোন কিছু দিয়ে আঘাত করে। তাকে বিকল করে দিয়ে আঠা দিয়ে সাময়িক স্থিতিশীলতা করে দেয়। ওইখান থেকে বেরিয়ে এসে বেশ দূর থেকে তাদের নজরে থাকে এটিএম কাউন্টারে থেকে কেউ টাকা তুলতে আসছে কিনা।
পরবর্তী সময় কোন ব্যক্তি এটিএম থেকে টাকা তুলতে এলে টাকা তোলার সময় সব কাজের শেষে টাকা রোল হয়। কিন্তু টাকা ওই বিকল জায়গা থেকে বেরিয়ে আসে না। পরে তিনি এটিএম কাউন্টার থেকে বেরিয়ে গেলে সেই সুযোগে দুষ্কৃতীরা যেখানে কারচুপি করছিল সেখানে হাত ঢুকিয়ে টাকা নিয়ে চলে যায় দুস্কৃতিরা। অভিনব কায়দায় এটিএম কাউন্টারে চুরির ঘটনায় রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে ব্যাংক ম্যানেজারদের। তবে মঙ্গলকোট থানার আইসি পিন্টু মুখার্জি জানান -” আমরা ধৃত দুস্কৃতি কে জেরা করে এই ঘটনার সাথে যারা প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদের কে গ্রেপ্তার করে এই অপরাধ চক্রের কিনারা করতে চাইছি”।