কোন জামার সঙ্গে কী পরবেন পুজোয়, কতটা সাজবেন, মেক আপই কেমন হবে, জোরকদমে চলছে আলোচনা। আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে ত্বকের নিজস্ব জৌলুসে, প্রসাধন সামগ্রীতে নয়। ত্বকের যত্নেও থাকা চাই বাড়তি সচেতনতা। সকলের ত্বক এক হয় না। কারও তেলতেলে তো, কারও আবার বেশ শুষ্ক। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ত্বকের ধরন অনুযায়ী যেমন প্রসাধন সামগ্রী বেছে নেয়া জরুরি, তেমনই ত্বকের ধরন অনুযায়ী যত্ন নিতে হবে। যত্ন নিলে সুফল মিলবে বেশি।
- ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্কঃ ত্বকের পরিচর্যায় থাকবে ক্লিনজার, টোনার, ময়েশ্চারাইজার এবং সিরাম। বাড়ি থেকে বেরোনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মেখে নিন। বাইরে অনেক ক্ষণ থাকলে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
- ত্বকের মৃত কোষ দূর করুনঃ তার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্রাবিং। ঘরোয়া উপায়ে বিভিন্ন ফেস মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
- খাওয়া তে বদল আনতে হবে। ভিটামিন সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার রোজ খেতে হবে। সারা দিনে ৩-৪ লিটার জল খান। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বার করে দিতে সাহায্য করে। সঙ্গে ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানোও প্রয়োজন।
শুষ্ক ত্বকঃ
হায়লুরোনিক অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের দেখাশোনা করে। ত্বকের প্রতিটি কোষকে সজীব রাখতে এই উপাদান খুবই উপকারী। শুষ্ক ত্বকের অন্য একটি উপকারী উপাদান হল ভিটামিন ই। ভিতর থেকে ত্বক সুস্থ রাখতে রোজের রূপরুটিনে রাখতে পারেন এই হায়লুরোনিক অ্যাসিড। ‘আমন্ড’, ‘সানফ্লাওয়ার’, ‘ফলিক’ অ্যাসিড শুষ্ক ত্বকের দারুন।
তৈলাক্ত ত্বকঃ
স্যালিসিলিক অ্যাসিড তৈলাক্ত ত্বকে সেবাম উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। যাদের ত্বক খুব তেলেতেল, প্রসাধন সামগ্রী কেনার আগে দেখে নিন, উপকরণে স্যালিসিলিক অ্যাসিড আছে কি না। তৈলাক্ত ত্বকে ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি। এই অ্যাসিড ব্রণ দূর করতে পারে।