অভিনয় করতে গিয়ে সূত্রপাত হয়েছিল দীপঙ্কর দে (Dipankar Dey) ও দোলন রায় (Dolon Ray) এর প্রেম।
দীপঙ্করের তুলনায় বয়সে অনেকটাই ছোট ছিলেন দোলন। নব্বইয়ের দশকে তখনও উৎপত্তি হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ার। ছিল না এত চ্যানেলের রমরমা। দোলন ও দীপঙ্করের অসমবয়সী প্রেম হয়ে উঠেছিল মুখরোচক কাহিনীর ইন্ধন।
তাঁদের কটাক্ষ করা হয়েছিল বাবা-মেয়ে বলে। একসময় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় দীপঙ্করের। দোলন ও দীপঙ্কর লিভ-ইন করতে শুরু। লিভ-ইনে থাকা সত্ত্বেও দোলন বরাবর হাতে শাঁখা-পলা ও সিঁথিতে সিঁদুর পরতেন।
View this post on Instagram
দোলনের বাড়িতে এই সম্পর্ক নিয়ে ছিল আপত্তি। দীর্ঘ পঁচিশ বছর লিভ-ইনে থাকার পর মাত্র আড়াই বছর আগে সাতপাকে বাঁধা পড়েছিলেন দীপঙ্কর ও দোলন। আইনত বিয়ে সেরেছিলেন তাঁরা। বিয়ের দিন দুজনেই সেজেছিলেন সাবেকি সাজে। দীপঙ্করের পরনে ছিল সাদা রঙের ধুতি-পাঞ্জাবি। দোলন পরেছিলেন লাল বেনারসী। বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছিল। ঘনিষ্ঠরা উপস্থিত ছিলেন বিয়েতে। তবে বিয়ের অনুষ্ঠানের ধকলের ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দীপঙ্কর। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
রবিবার জি বাংলার জনপ্রিয় গেম শো ‘দিদি নং ওয়ান’-এর মঞ্চে এসেছিলেন দীপঙ্কর ও দোলন। দীপঙ্কর জানালেন, সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোলন তাঁর অত্যন্ত যত্ন নেন। এই বয়সে এসেও সন্ধ্যা হলেই ঘুরতে বেড়িয়ে পরেন দীপঙ্কর। কখনও বাগবাজার, কখনও শ্যামবাজার চলে যান। চপ, কাটলেট, গোলবাড়ির কষা মাংস খান। রচনা (Rachana Banerjee) তো হতবাক। তিনি দোলনকে জিজ্ঞাসা করেন, তিনি কেন কিছু বলেন না! দোলন জানান, সেদিন তিনি শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন।
View this post on Instagram
দোলন শুটিংয়ে বেরোনোর সময় দীপঙ্কর বলেন, তিনি কোথাও বেরোবেন না। বাড়িতেই দই-চিঁড়ে খাবেন। দীপঙ্কর সবসময়ই বলেন, ঘুরতে বেরোচ্ছেন।
দীপঙ্করের মনে হয়, দোলন এত ছোট হয়েও তাঁকে ভালোবাসলেন। তাঁরও তো কিছু স্বপ্ন ছিল। যথেষ্ট সুখী তাঁরা একে অপরের সাথে।
View this post on Instagram