টাইফুন ‘নানমাডল’ জাপানে ল্যান্ডফল করেছে।
টাইফুনের প্রভাবে প্রতি ঘন্টায় ২৩৪ কিলোমিটার (১৪৬ মাইল) বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইছিল এবং ইতিমধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম কিউশু অঞ্চলের কিছু অংশে ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে ৫০০ মিমি বৃষ্টিপাত হয়েছে। কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী ঝড়ের উচ্চ বাতাস এবং প্রবল বৃষ্টি থেকে লাখ লাখ মানুষকে আশ্রয় নিতে অনুরোধ করেছে।
রবিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
জাপানের আবহাওয়া সংস্থা (জেএমএ) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি কাগোশিমা শহরের কাছে এসে পৌঁছায়।
জাপানের ন্যাশনাল ব্রডকাস্টার এনএইচকে, ঝড় থেকে বাঁচতে ৭০ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে বা মজবুত ভবনে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। কমপক্ষে ২০ হাজার মানুষ কিউশুর কাগোশিমা এবং মিয়াজাকি প্রিফেকচারে আশ্রয়কেন্দ্রে রাত কাটাচ্ছে, যেখানে জেএমএ একটি বিরল ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ঝড়ের উপর একটি সরকারি সভা আহ্বান করার পরে টুইটে বলেন, দয়া করে বিপজ্জনক জায়গা থেকে দূরে থাকুন, আপনি যদি বিপদের সামান্য ইঙ্গিতও অনুভব করেন তবে দয়া করে সরে যান। তিনি আরও বলেন, বাইরে আলো থাকতেই দয়া করে নিরাপদে চলে যান।
জেএমএ সতর্ক করেছে যে অঞ্চলটি প্রবল বাতাস, ঝড়বৃষ্টি এবং মুষলধারে বৃষ্টি থেকে ‘অভূতপূর্ব’ বিপদের সম্মুখীন হতে পারে এবং ঝড়টিকে ‘খুবই বিপজ্জনক’ বলে অভিহিত করেছে। বিশেষ করে ভূমিধসের সতর্কতার অধীনে থাকা এলাকায় সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়েছে। জেএমএ বলছে, এটি অত্যন্ত সম্ভাব্য, কিছু এলাকায় ভূমিধস ইতিমধ্যেই ঘটছে।
জাপানের আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান হিরো কাতো বলেন, ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে যা আগে কখনো হয়নি। এছাড়াও যেখানে সাধারণত দুর্যোগ ঘটে না সেখানেও সর্বোচ্চ সতর্কতার” আহ্বান জানান তিনি।
জাপানের ইউটিলিটি সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ, ঝড়ে আক্রান্ত অঞ্চল জুড়ে প্রায় ২ লাখ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় ছিল। ছবিঃ সংগৃহীত।