গোয়ায় শোচনীয় অবস্থা কংগ্রেসের। বুধবারই কংগ্রেসের মোট ৮ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গেছে, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগম্বর কামাত ও বিরোধী দলনেতা মাইকেল লোবোর নেতৃত্বে ৬ জন কংগ্রেস বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিলেন।
বুধবার সকালেই মাইকেল লোবো ও দিগম্বর কামাত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সওয়ান্তের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি তারা বিধানসভার স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন। সকালে কংগ্রেস বিধায়কদের স্পিকারের সঙ্গে সাক্ষাৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়। তারপর গোয়া বিজেপির প্রধান সদানন্দ শেট তানাবাড়ে সংবাদ সংস্থা পিটিআই কে জানিয়েছেন, তারা বুধবারই পদ্ম শিবিরে যোগ দিচ্ছেন।
২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর গোয়ায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্য়া ছিল ১১। কামাত ও লোবো সহ কংগ্রেসের মোট আটজন শিবির বদল করলে তা কমে দাঁড়াবে তিনে।
মোট বিধায়ক সংখ্যার দুই তৃতীয়াংশের বেশি বিধায়ক দল ছাড়ায় তাদের বিরুদ্ধে দলত্যাগী বিরোধী আইনে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না কংগ্রেস।
প্রসঙ্গত, এর আগেও গত জুলাই মাসেই গোয়ায় কংগ্রেস বিধায়কদের শিবির বদল নিয়ে জল্পনা শোনা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে দিল্লিতে নেতাদের সঙ্গে আলোচনা পর্ব সেরে রেখেছিলেন। এই আবহে ২ বিধায়ককে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছিল। জুলাইতে কোনওভাবে সেই ভাঙন আটকাতে সক্ষম হলেও সেপ্টেম্বরে আর শেষ রক্ষা হল না। কংগ্রেসের হাত ছেড়ে হাতে পদ্ম তুলে নিলেন কংগ্রেসের আট বিধায়ক।
দলকে চাঙ্গা করতে রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার (ইউনাইট ইন্ডিয়া মার্চ) মধ্যেই গোয়ায় এমন পরিস্থিতি কংগ্রেসের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। বিজেপি নেতারা উপহাস করে বলছে, প্রথমে আপনার দলকে একত্রিত করুন, পরে ভারতকে।
কংগ্রেসের মিত্র, গোয়া ফরোয়ার্ড পার্টির প্রধান বিজয়ী সরদেসাই তিরস্কারের সাথে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, দলত্যাগী বিধায়করা “বিশুদ্ধ শয়তানের প্রতীক” যারা সম্পদের লোভ এবং ক্ষমতার ক্ষুধা জন্য সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের অবমাননা করে।
গোয়া বিধানসভায়, ৪০ আসনের মধ্যে ২৫টি দখলের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে বিজেপির। নিজস্ব ২০ জন বিধায়ক, দুইজন মহারাষ্ট্রবাদী গোমান্তক পার্টির এবং তিনজন স্বতন্ত্র রয়েছেন। এটি এখন ৩৩-এ দাড়াবে।
সূত্রঃ এনডিটিভি। ছবিঃ সংগৃহীত।