চার বছরের শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু স্কুল বাসে তালাবন্ধ, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে

Published By: Khabar India Online | Published On:

কাতারের আল ওকরা শহরে কয়েক ঘণ্টা ধরে স্কুলবাসে বন্ধ থাকার পর, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মিনসা মারিয়াম জ্যাকব নামে ৪ বছরের ভারতীয় বংশদ্ভুত এক শিশুর।

ওই দিনই শিশুটির জন্মদিন ছিলো। ওইদিনই বিদেশের মাটিতে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটল তার। এই মর্মান্তিক মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না বলে জানিয়েছে কাতারের শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

মিনসার বাবা অভিলাশ চকো এবং মা সৌম্যা, দুজনেই কেরালার কোট্টায়াম জেলার চাঙ্গানাসেরির বাসিন্দা। কর্মসূত্রের কাতারের দোহায় থাকেন।

আরও পড়ুন -  Young Woman: গাড়ি ১২ কিমি টেনে-হেঁচড়ে নিয়ে যায়, তরুণীকে

আল ওকরার স্প্রিংফিল্ড কিন্ডারগার্টেনে পড়ত ছোট্ট মিনসা। গত রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর), ছিল তার জন্মদিন।  সকালে তিনি স্কুলে যাওয়ার জন্য স্কুল বাসে উঠেছিল। কিন্ডারগার্টেনে যাওয়ার পথে ঘুমিয়ে পড়েছিল। মিনসা যে বাসের মধ্য়েই ঘুমিয়ে আছে, তা লক্ষ্যই করেনি বাসচালক ও তার সহকারী। মিনসাকে বাসের মধ্যে রেখেই তারা বাসটিকে লক করে পার্কিং লটে রেখে চলে গিয়েছিল।

আরও পড়ুন -  Netherlands To Auction Jerseys: জার্সি নিলামে তুলবে নেদারল্যান্ডস, নির্মাণশ্রমিকদের জন্য

দুপুরে শিশুদের বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা ফিরে এসেছিল। সেই সময়ই বাসের মধ্যে মিনসাকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, কিন্তু বাঁচানো যায়নি। চিকিৎসকরা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন, বন্ধ বাসে অতিরিক্ত গরমে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ বছরের মেয়েটির।

মিনসার মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছে দোহার শিক্ষা ও উচ্চশিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই ঘটনার বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

আরও পড়ুন -  IND vs RSA: রোহিতের প্রধান অস্ত্র, এই ৫ ভারতীয় ক্রিকেটার, জেতাতে পারে প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে

 বিবৃতিতে তারা বলেছে, শিক্ষার্থীদের সুরক্ষার বিষয়ে কোনও গাফিলতি সহ্য করা হবে না। টুইটারে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের জন্য সর্বোচ্চ মানের নিরাপত্তার মান নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে তা মেনে চলা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, তদন্তের ফলাফল অনুসারে দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়া নিশ্চিত করতে সমস্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্রঃ  টিভি নাইন, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।