ইসলামিক স্টেটের (আইএস) এক সহযোগী শাখার সদস্যদের হামলায় মালির বুরকিনা ফাসো এবং নাইজার সীমান্তবর্তী একটি সহিংসতা-কবলিত এলাকার এক শহরে এই সপ্তাহে প্রায় ৩০ বেসামরিক নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে, সরকারপন্থি মিলিশিয়াদের একটি জোট।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
২০১২ সাল থেকেই মালিতে অস্থিরতা চলছে। ওই সময় উত্তরে স্থানীয় নৃগোষ্ঠী তুয়ারেগদের বিদ্রোহ ছিনিয়ে নেয় জঙ্গিরা। তারপর থেকে তারা পশ্চিম আফ্রিকার সাহেল অঞ্চলজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মালি, বুরকিনা ফাসো ও নাইজারে কয়েক হাজার মানুষকে হত্যা ও ২০ লাখের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে।
প্লাটফর্ম নামে পরিচিত সরকারপন্থি মিলিশিয়াদের জোটটি বলেছে, মঙ্গলবার গাও অঞ্চলের তালাতায়ে শহরের কাছে কয়েকশ জঙ্গি তাদের যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালায় এবং তাদের পিছু হটতে বাধ্য করে। এলাকাটি দীর্ঘদিন ধরে জঙ্গি ও মিলিশিয়াদের মধ্যে সহিংসতার উত্তপ্ত ক্ষেত্র।
অনলাইন বিবৃতিতে প্লাটফর্ম বলেছে, জঙ্গিরা স্থানীয় বাসিন্দাদের ওপর হামলা চালানোর পাশাপাশি দোকানপাট লুট করে ও খাদ্য মজুতে আগুন ধরিয়ে দেয়, এই সময় তাদের তিন যোদ্ধা নিহত হয়।
আরও বলা হয়েছে, প্লাটফর্মের পাঠানো অতিরিক্ত বাহিনী তালতায়ে পৌঁছেছিল যেখানে তারা গণহত্যার পাশাপাশি শত শত নারী ও শিশুকে আবিষ্কার করেছিল যারা দু’দিন ধরে না খেয়ে শহরে ঘুরে বেড়াচ্ছিল।
এই হামলার দায় তাৎক্ষণিকভাবে স্বীকার করেনি কোনো পক্ষ এবং মালির কর্তৃপক্ষও এই বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২০১৭ সালে মালির কিদাল এলাকায় মর্টার হামলার পরে একজন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিনিসুমা ঘাঁটিতে পাহারা দিচ্ছে। ছবিঃ রয়টার্স।