Pakistan Flood: বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি পাকিস্তানে, ৩০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে

Published By: Khabar India Online | Published On:

 ভারী বর্ষণের প্রভাব সারা দেশে ১১৬টি জেলার ৩ কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। ৬৬টি জেলা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদপত্র দ্য ডন, এএনআই।

প্রায় ৩ লাখের বেশি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং সাড়ে ৬ লাখ বাড়িঘর আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এছাড়াও রাস্তা, সেতু, স্কুল, হাসপাতাল এবং জনস্বাস্থ্য সুবিধা সহ গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বুধবার খাইবার পাখতুনখোয়ায় বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। দুর্যোগ-কবলিত এলাকায় পুনর্বাসনের জন্য ১০০ কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছেন।

আরও পড়ুন -  Free Ration for 3 Months: বড় সুখবর, রেশন কার্ডধারীদের জন্য জুন থেকে তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশন বিতরণ শুরু

কালাম এবং সোয়াতের অন্যান্য অংশে তার সফরের সময়, প্রধানমন্ত্রী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে দেখা করেন এবং কালাম ও কাঞ্জুতে একটি সমাবেশে ভাষণ দেন যেখানে তিনি সংকট কাটিয়ে উঠতে ফেডারেল সরকারের সর্বাত্মক সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দেন।

পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ফেডারেল সরকার ইতোমধ্যে ২৮ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করেছে যা এনডিএমএ এবং বেনজির ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। তিনি আরও যোগ করেছেন, প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে নগদ ২৫ হাজার টাকা এবং বন্যায় নিহত ব্যক্তিদের প্রতিটি পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে।

আরও পড়ুন -  Iran: ইরানের গোয়েন্দা কর্মকর্তাসহ নিহত ১৯, সন্ত্রাসী হামলায়

জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভয়াবহ বন্যার কারণে পাকিস্তানে ১ কোটি ৬০ লাখ শিশুসহ প্রায় ৩ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ৩০ লাখেরও বেশি শিশু ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বন্যার কারণে ত্রিশ লাখেরও বেশি শিশু মানবিক সহায়তার প্রয়োজন এবং জল-বাহিত রোগ এবং অপুষ্টির ঝুঁকিতে আছে।

আরও পড়ুন -  Gold Price Today: রবিবার সকালে একধাক্কায় বদলে গেল সোনার দাম, জানুন আজকের বাজারদর

ইউনিসেফ আরও বলেছে, বন্যায় প্রভাবিত এলাকায় ৩০ শতাংশ খাবার জলের ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছে এবং ডায়রিয়া এবং জলবাহিত রোগ, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের পাশাপাশি চর্মরোগের ঘটনা ইতিমধ্যেই রিপোর্ট করা হয়েছে। জল-বাহিত এবং ভাইরাস-বাহিত রোগের পাশাপাশি অন্যান্য সংক্রামক রোগ যেমন করোনা ভাইরাসের এর ঝুঁকি বেড়েছে।

 ইউনিসেফ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় শিশু ও পরিবারের জরুরি প্রয়োজনে সাড়া দিতে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করছে। ছবিঃ  সংগৃহীত।