অর্পিতা মুখোপাধ্যায় (Arpita Mukherjee) টলিউডে এসেছিলেন নায়িকা হবেন বলে। বর্তমানে তাঁর একটাই পরিচয়, প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)র রক্ষিতা।
অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ, ফরেক্স ও সোনা উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি পার্থর মোবাইলের মেসেজ থেকে জানা গিয়েছ, অর্পিতার একত্রিশটি জীবন বীমার প্রিমিয়াম দিতেন পার্থ। এমনকি অর্পিতার জীবন বীমার নমিনিও তিনি।
ইডির আইনজীবীরা পার্থ ও অর্পিতার ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের দিকেও ইঙ্গিত করেন। বর্তমানে আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারের বন্দি অর্পিতা। তাঁর সাথে বাড়ির কোনো সদস্য দেখা করতে আসেননি এখনও।
বেলঘরিয়ার দেওয়ানপাড়ার একচিলতে ভাঙা ঘরেও মন খারাপের ছোঁয়া। বৃদ্ধা মিনতি মুখোপাধ্যায় (Minati Mukherjee) কখনও ভাবতে পারেননি, তাঁর মেয়ে অর্পিতার সাথে দ্বিগুণ বয়সী কোনো পুরুষের সম্পর্ক থাকতে পারে। টিভিতে নজর রাখছেন মিনতি দেবী। টিভির খবর থেকেই তিনি জানতে পেরেছেন, অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল অর্থের ব্যাপারে। মাকে অর্পিতা বলেছিলেন, তিনি ফিল্ম ও সিরিয়ালে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনা সংস্থার সাথেও যুক্ত। কিন্তু মেয়ের বিলাসবহুল জীবনযাত্রা দেখে সতর্ক করেছিলেন মিনতি দেবী। তিনি চান, অর্পিতা দোষী হলে তাঁর যেন উপযুক্ত শাস্তি হয়।
অপরদিকে জেলের বন্দি জীবনে মানাতে পারছেন না অর্পিতা। তাঁকে অন্যান্য মহিলা বন্দিদের সাথেই থাকতে হচ্ছে। একা সেলে থাকার আবেদন করেছেন অর্পিতা। সেভাবে কারোর সাথে কথা না বললেও নিজের দুর্দশার জন্য মাঝে মাঝেই আক্ষেপ করছেন তিনি। দুষছেন পার্থকে। জেলের তরফে তাঁকে বই পড়তে দেওয়া হলেও পড়ায় মনোযোগ নেই তাঁর। মনের মধ্যে রয়েছে অসুস্থ মায়ের জন্য চিন্তা।