Salman Rushdie: ‘বিস্মিত’ হামলাকারী, সালমান রুশদি বেঁচে যাওয়ায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

সালমান রুশদিকে মারাত্মক ভাবে ছুরির আঘাতের পরও তিনি প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন শুনে বিস্মিত হামলাকারী। মার্কিন সংবাদ মাধ্যম নিউ ইয়র্ক পোস্টের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটাই জানালেন রুশদিকে হামলাকারী যুবক হাদি মাতার।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

নিউ ইয়র্ক পোস্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাদি বলেন, আমি রুশদিকে পছন্দ করি না। আমি মনে করি তিনি খুব একটা ভাল মানুষ না। তিনি এমন একজন যিনি ইসলামকে আক্রমণ করেছেন, তিনি তাদের বিশ্বাস ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছেন।

আরও পড়ুন -  সচিন কন্যা সারা তেন্ডুলকর শুভমনের বোনের সাথে

মাতার নিউ ইয়র্ক পোস্টকে আরও বলেছিলেন যে, তিনি রুশদির উপন্যাস ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’-এর দুয়েকটি পৃষ্ঠা পড়েছিলেন।

হাদি আরও জানান, তিনি ইরানের আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনিকে সম্মান করেন তবে তিনি প্রাক্তন ইরানী নেতার জারি করা ফতোয়া দ্বারা অনুপ্রাণিত কিনা তা বলতে পারবেন না। এছাড়াও ইরানের বিপ্লবী গার্ডের সাথে যোগাযোগের কথা অস্বীকার করেছেন।

আরও পড়ুন -  প্রচণ্ড তাপে সন্তানকে সুস্থ রাখবেন কী ভাবে? স্কুলে পাঠানোর আগে

রুশদির বিতর্কিত বই ‘দ্য স্যাটানিক ভার্সেস’লেখার পর খোমেনিই প্রথম তার বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করেন। তাই অনেকের ধারণা খোমেনির দ্বীক্ষায় অনুপ্রানিত হয়েই রুশদির ওপর হামলা চালায় মাতার।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট নিউ ইয়র্ক থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে শতকা ইন্সটিটিউশনের মঞ্চে বক্তৃতা করতে ওঠার সময় ছুরি নিয়ে রুশদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন মাতার। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ১৫ থেকে ২০ বার ছুরির কোপ বসানো হয় রুশদির ঘাড়ে-বুকে-পেটে। আহত রুশদিকে হেলিকপ্টারে করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এরপরই গ্রেপ্তার করা হয় হাদি মাতারকে। ছবিঃ  সংগৃহীত।

আরও পড়ুন -  একজনকে খুব ভালোবাসি, সে কথা বলে না, তারপর কি হলো?