Rudy Koertzen: আম্পায়ার রুডি কোয়ের্তজেনের মৃত্যু, দুর্ঘটনায়

Published By: Khabar India Online | Published On:

ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা আম্পায়ার রুডি কোয়ের্তজেন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার রিভারডেলে এক মারাত্মক দুর্ঘটনায় সঙ্গীসহ নিহত হয়েছেন তিন।

আলগোয়া এফএম নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোয়ের্তজেনের ছেলে রুডি কোয়ের্তজেনন জুনিয়র। ২০১০ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শেষবার আম্পায়ারিং করা কোয়ের্তজেনের বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।

দক্ষিণ আফ্রিকার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, কেপটাউন থেকে গলফ খেলে নেলসন ম্যান্ডেলা বেতে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে উল্টো পাশ থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় কোয়ের্টজেনদের গাড়ির।

আরও পড়ুন -  Manju Singh: শোকস্তব্ধ ভারতীয় টেলিভিশন জগৎ, প্রয়াত মঞ্জু

কোয়ের্তজেনের ছেলে আরও জানান, তার বাবার একদিন আগেই বাড়ি ফেরার কথা ছিল, কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে তিনি একটি গলফ প্রতিযোগিতায় গিয়েছিলেন। সোমবারই তাদের ফেরার কথা ছিল। কিন্তু আরেক রাউন্ড গলফ খেলতেই থেকে গিয়েছিলেন তারা।

১৯৪৯ সালে ২৬ মার্চ কেপ প্রভিন্সের কেনিসনায় জন্মগ্রহণ করা কোয়ের্তজেন রেলওয়েতে কেরাণির চাকরির পাশাপাশি স্থানীয় লিগ ক্রিকেটে খেলতেন। খেলা ছেড়ে ১৯৮১ সালে আম্পায়ারিংয়ে আসা কোয়ের্তজেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ম্যাচ পরিচালনা করেন ১৯৯২ সালে ৯ ডিসেম্বর। পোর্ট এলিজাবেথে সেই ওয়ানডেতে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ ছিল ভারত। ওই সিরিজেই টেস্টেও অভিষেক হয় তার। ওই সিরিজেই প্রথম টিভি আম্পায়াররা রানআউটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন -  বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য জীবিত অবস্থায় চক্ষুদান এবং দেহদান করার অঙ্গীকার করেছিলেন, দৃষ্টি ফিরে পেলেন দুজন

সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা রেকর্ড নিয়েই অবসরে গিয়েছিলেন কোয়ের্তজেন। পরে তার ৩৩১ ম্যাচের রেকর্ড ভাঙেন পাকিস্তানের আলিম দার। ১৯৯৭ সালে আইসিসির পূর্ণকালীন আম্পায়ার হওয়া কোয়ের্তজেন ১০৮টি টেস্ট, ২০৯টি ওয়ানডে, ১৪টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ও ১টি মেয়েদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আম্পায়ার ছিলেন। টিভি আম্পায়ার হিসেবে কাজ করেছেন আরও ৬৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে।

আরও পড়ুন -  PNB KYC Update: পিএনবি KYC আপডেট, ২৩ জানুয়ারির মধ্যে এই কাজটি সেরে ফেলুন, নইলে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হতে পারে!

সবচেয়ে বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা রেকর্ড নিয়েই অবসরে গিয়েছিলেন কোয়ের্তজেন।