২৩ জুলাই ২০২২ ছিল সেই দিন। পার্থ চট্টোপাধ্যায় তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবীর বাড়িতে রাতারাতি হানা দেয় ইডি এবং বিপুল অঙ্কের টাকা সোনা উদ্ধার করে।
এরপরেই জেল হেফাজতে আসেন দুই ব্যাক্তি। অর্থ তছরুপ এবং শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন স্কুল সার্ভিস কমিশনের যেই কেলেঙ্কারি করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় তার খেসারত দেওয়া চলছে। ইডি তাদের হেফাজতে রেখে চালায় জেরা। বৃহস্পতিবার পার্থ ও অর্পিতাকে PMLA আদালতে হাজির করা হয়, এবং মুখোমুখি জেরা চালানো হয়।সেই সময়, পার্থ জানান তিনি অর্পিতাকে সেভাবে চেনেন না, নাগতলা পুজোয় কয়েকবার দেখেছেন। এছাড়াও, এদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উকিল জানান যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিধায়কের পদ ছাড়তে চান।
ওইদিন আদালতে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উকিল জামিনের আবেদন করলে, সেটি মঞ্জুর হয় না। বরং পার্থ ও অর্পিতার আগামী ১৮ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ হয়।
বিশেষ আদালতে পার্থ ও অর্পিতার বয়ানে অসঙ্গতি থাকার দরুন আরো কিছুদিন ইডি তাদের হেফাজতে নেন এই দুই বিশেষ ব্যাক্তিকে।অবশ্য এবার আর একসঙ্গে নয়। পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়কে (PREVENTION OF MONEY-LAUNDERING ACT, 2002) আদালত থেকে নিয়ে যাওয়া হবে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে, অর্পিতা মুখোপাধ্য়ায়কে নিয়ে যাওয়া হবে আলিপুরের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।