নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ, মেট্রোর নতুন দুই রুট পুজোয় চালু হতে পারে

Published By: Khabar India Online | Published On:

চলতি বছরের অক্টোবর মাসের মধ্যেই এবার যাত্রী পরিষেবার জন্য খুলে দেওয়া হবে জোকা থেকে তারাতলা মেট্রো। এবছরই নিউ গড়িয়া থেকে রুবির মধ্যে মেট্রোর পরিষেবা খুলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে মেট্রোরেলের তরফ থেকে।

এই বছর স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তি। সেই উপলক্ষে শনিবার দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন কেন্দ্রের ইস্পাত এবং অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।

মেট্রো রেলওয়ে সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই তারাতলা থেকে জোকা মেট্রো পথের সাড়ে ছয় কিলোমিটারের কাজ প্রায় সম্পূর্ণ। স্টেশন নির্মাণ থেকে শুরু করে সমস্ত ট্র্যাক বসানো এবং থার্ড রেলে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সবকিছুই হয়ে গিয়েছে।

আরও পড়ুন -  মেট্রো সংখ্যা বাড়ছে কলকাতায়, স্বাভাবিক হচ্ছে মেট্রো পরিষেবা

 খুব শীঘ্রই ট্রায়াল রান শুরু হবে। নিউ গড়িয়া থেকে বিমানবন্দরের রুট এ নিউ গড়িয়া থেকে রুবির মধ্যে অভিসিকতা সংলগ্ন একটি জায়গা বাদ দিয়ে উড়াল পথ নির্মাণ প্রায় শেষ। এই উড়াল পুলের নির্মাণ যদি তাড়াতাড়ি হয়ে যায়, তাহলে পুজোর আগেই ট্রায়াল রান শুরু হয়ে যাবে সেই জায়গাতেও।

আরও পড়ুন -  পরিকল্পনা আছে পুরী যাওয়ার এই শীতে? ভারতীয় রেলের নতুন ট্রেনের ব্যাপারে জেনে নিন

 ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো শিয়ালদহ স্টেশনের একটি অনুষ্ঠানে শহরের মেট্রো প্রকল্পগুলি নিয়ে কাজের অগ্রগতি তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করছেন, মোদি সরকারের গত ৮ বছরে শহরের মেট্রো প্রকল্পের সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।

 মেট্রো পরিষেবার হাল দেখতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সকালে মেট্রোয় করে দক্ষিণেশ্বর থেকে বরানগর পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসেন। অন্যদিকে দুপুরে ধর্মেন্দ্র প্রধান ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত যান। তার সফর সঙ্গী হয়েছিলেন পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা।

আরও পড়ুন -  Gold Price Today: ব্যাপক পতন সোনা-রুপোর দামে, ১০ গ্রাম সোনার লেটেস্ট রেট জানুন

স্বাধীনতার ৭৫ তম বর্ষপূর্তিতে এদিন অনুষ্ঠান হয় নেতাজি ভবন মেট্রো স্টেশনে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন রেল দপ্তরের দুই প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জারদৌস এবং রাও সাহেব পাতিল দানবে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে যোগ দিয়েছিলেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান। সুভাষচন্দ্র বসুর গোমো থেকে ট্রেনে করে পেশোয়ার যাওয়ার ঘটনা তুলে ধরেছিলেন ইতিহাসবিদ এবং প্রাক্তন সাংসদ সুগত বসু।