তৃণমূলের অন্দরেই দাবি, মন্ত্রিসভা ভেঙে নতুন করে সাজান, পার্থ গ্রেপ্তারির পর

Published By: Khabar India Online | Published On:

 একের পর এক মন্ত্রীর নাম সামনে আসছে। ফলে দলের অন্দরেও দাবি উঠছে এমন নেতাদের মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিয়ে দিতে হবে।

শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করার পর সেই পুরনো দাবি আরও জোরালো হয়েছে। মন্ত্রিসভা ঢেলে সাজান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

 এই ধরনের দাবি তুলতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অনুগামী নামে পরিচিত নেতারা। জানা গিয়েছে, তৃণমূলের অন্দরে তাঁরা একটি প্রেসার গ্রুপ তৈরির চেষ্টা করছেন যা কলুষহীন এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মন্ত্রিসভা গঠন করতে সাহায্য করবে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, অতীতে বেশ কয়েকজনকে মন্ত্রী না করার দাবি তুলেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আপত্তি ছিল মূলত সেই সমস্ত নেতা-মন্ত্রীদের নিয়ে যারা কোনো না কোনো সময় দুর্নীতির সাথে জড়িয়ে ছিল। তবে দল সেই বক্তব্য না মানায় ২০১৬ সালে সরকার গঠনের সময় শপথ গ্রহণে অংশগ্রহণ করেননি অভিষেক।

আরও পড়ুন -  দিদি তুমি কথা রাখো, প্রমাণ করো বাস্তবতা, ব্রাত্যর বাড়ির সামনে কাতর আর্জি মহিলা এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হয়ে উঠেছেন তৃণমূল দলের সাংসদ এবং যুব তৃণমূলের সভাপতি। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির প্রেক্ষিতে অভিষেকের এমন মনোভাব আবার দলের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন -  করোনা একেবারে তলানিতে, তবুও কেন নির্বাচন হচ্ছে না ? কমিশনের কাছে আর্জি পেশ তৃণমূলের

এসএসসি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দীর্ঘদিন ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে ইডি। প্রথমে ফিরহাদ হাকিম এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন যে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। কিন্তু গতকাল পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতার বাড়ি থেকে ২১ কোটি টাকা এবং বিপুল সম্পত্তি হাতেনাতে ধরা পরার পর কার্যত তৃণমূল কংগ্রেস পার্থর থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু করেছে।

আরও পড়ুন -  ত্রিপুরা অভিযানে নামছে তৃণমূল, সূচনা করলেন কুনাল ঘোষ, অমিত শাহের শ্লোগান ব্যবহার করেই

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মূলত এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে তল্লাশি চালাচ্ছিল ইডি। গত শুক্রবার সেই ইস্যুতেই জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে তদন্তকারীরা। আর তারপর শুক্রবার রাতেই মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার হয় এবং অর্পিতা মুখার্জির নামে বাংলার বুকে ব্যাপক পরিমাণ সম্পত্তির খোঁজ মেলে।