আটক করা হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। ইডি সূত্রে খবর, প্রায় ২১ কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে অর্পিতার বাড়ি থেকে।
সূত্রের খবর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে তদন্ত সহযোগিতা না করার অভিযোগ কিন্তু উঠেছে তার বিরুদ্ধে। খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হতে পারে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে এবং সেই সূত্রেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে।
সেই সূত্রে উঠে আসে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নাম। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা জানতে পারে, অর্পিতার আত্মীয় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়দের নামে প্রচুর সম্পত্তি রয়েছে। জানা গিয়েছে, অর্পিতার নামে তিনটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এরমধ্যে বেলঘড়িয়া এলাকায় রয়েছে দুটি ফ্ল্যাট এবং একটি বাড়ি রয়েছে।
সেই ফ্ল্যাটের আবাসনের সম্পাদক জানিয়েছেন, প্রতি মাসে সেখানে আসতেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। লাল বাতি লাগানো গাড়িতে আসতেন ভিআইপিরা। তবে এই মুহূর্তে দুটি ফ্ল্যাট তালা বন্ধ অবস্থায় আছে।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সুত্রে খবর, অর্পিতার বাড়ি থেকে প্রায় ২১ কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তার সাথেই উদ্ধার হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার সোনা। কিন্তু এত টাকা এল কোথা থেকে? অর্পিতা জানিয়েছেন তিনি নাকি অভিনয় করেন এবং অভিনয় করেই এত টাকা জোগাড় করতে পেরেছেন তিনি। কিন্তু অভিনয় করে কত টাকা আয় করেন? পার্থ ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আয়ের উৎস জানতে তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। প্রশ্ন উঠছে, পার্থর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা ফ্ল্যাটে এই টাকা কার? কোথা থেকে এলো এই টাকা? কেনই বা ওই টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল?
এখনো পর্যন্ত এই সমস্ত প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। তবে একটি বিষয়ের উত্তর দিয়েছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন পরিষদীয় মন্ত্রীকে তিনি চেনেন। তাহলে কি ওই পরিচয় আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে কেলেঙ্কারির সমস্ত রহস্য?
অনেক আগে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার হাতে একটি পুজোর পোস্টার এসেছিল। ওই পোস্টারটি নাকতলা উদয়ন সংঘের পোস্টার এবং ওই পোস্টারের মুখ ছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। একজন সাধারণ মডেল হয়েও এত নামিদামি একটি পুজোর পোস্টার এর মুখ তিনি কিভাবে হলেন? কিভাবে তার পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা?