ল্যানসেট কমিশনের অনলাইন জার্নাল ‘ল্যানসেট প্ল্যানেটারি হেলথে’ দূষণ ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা গবেষণা প্রকাশিত হয়। তেমনই নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্রমবর্ধমান বায়ু দূষণ ও সীসার বিষক্রিয়ায় ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর প্রায় ৯০ লাখ মানুষ মারা গেছেন বিশ্বে।
প্রায় তিন-চতুর্থাংশই মারা গেছে শুধু বায়ুদূষণেই। গবেষণায় আরও দেখা গেছে, ২০১৯ সালে সারা বিশ্বে প্রতি ৬ জনে একজন দূষণে মারা গেছে। যা ম্যালেরিয়া, এইচআইভি, যক্ষ্মা বা মাদকের কারণে বার্ষিক মৃত্যুহারের চেয়ে বেশি।
গবেষণা থেকে জানা গেছে, দূষণের কারণে মৃত্যুর হার গত ২ দশকে ৬৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরিকল্পিত নগর পরিকল্পনা, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরতা ইত্যাদি এর পেছনে কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে জানা গেছে। গবেষণার প্রধান বলেছেন, ‘স্বাস্থ্যের উপর দূষণের প্রভাব প্রচুর। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলির উপর এই প্রভাব পড়ে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন অ্যাজেন্ডায় দূষণ প্রতিরোধ উপেক্ষিত।’
ল্যানসেট কমিশনের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে বায়ু দূষণের পর সবচেয়ে মারাত্মক ছিল জলদূষণ। ২০১৯ সালে সাড়ে তেরো লাখ মানুষের অকালমৃত্যু ঘটে। এরপর মৃত্যুর কারণ হিসেবে শীর্ষে ছিল সীসার বিষক্রিয়া। দূষণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হওয়া ১০টি দেশের বেশিরভাগই আফ্রিকার।
২০১৯ সালে বায়ুদূষণে মৃত্যুর তালিকার শীর্ষে ছিল ভারত। মৃত্যুহার বিশ্বহার এবং দূষণের মাত্রার উপর বিজ্ঞানীদের তথ্য বিশ্লেষণ অনুসারে, শিল্পপণ্য উৎপাদন প্রক্রিয়াসহ নগরায়ণের ফলেই মূলত বায়ু দূষণে ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দূষণজনিত মৃত্যু ৭ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র: জি নিউজ। / ছবি: জি নিউজ।