Curry Leaves: মসলা হিসেবে কারি পাতা ব্যবহার করে দেখুন, অনেক গুণ

Published By: Khabar India Online | Published On:

 কারি পাতা অনেক ধরনের রান্নায় ব্যবহার করা হয়। ঝোল জাতীয় রান্নায় ব্যবহার করা হয় বলে সাধারণত একে ‘কারি পাতা’ বলা হয়।

কারি পাতা শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এতে রয়েছে বিটা-ক্যারোটিন, প্রোটিন, আয়রন, ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, বি, ও এ। এই কারণে এ পাতা ব্যবহার করে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেক বাড়িয়ে দেয়। রূপচর্চাতেও ব্যবহার করা যায়। চকচকে সবুজ কারি পাতা কোলেস্টেরল এবং রক্তের গ্লুকোজের মাত্রার পরিমাণ ঠিক রাখে।

আরও পড়ুন -  মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খেলে অন্ত্রে তৈরি হয় খারাপ ব্যাকটেরিয়া

খাবারে নিয়মিত কারিপাতার ব্যবহার ওজন কমাতে সাহায্য করে।পেট ঠান্ডা করতে বড় ভূমিকা পালন করে কারি পাতা। নিয়মিত কারি পাতা খাওয়া শুরু করলে পেটের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমাতে প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কারিপাতাতে উপস্থিত কার্বেজল অ্যালকালয়েড নামক উপাদান আছে।

 মর্নিং সিকনেস এবং সর্দির হাত থেকেও কারি পাতা বাঁচায়। কারি পাতা বমিভাব দূর করে। চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্যও কারি পাতা খুব ভালো। চোখের কর্নিয়া ভালো থাকে।

আরও পড়ুন -  এঁচোড় মিষ্টি রেসিপি - বাংলার একটি প্রচলিত স্বাদ!

 চুল পড়ার হাত থেকেও মুক্তির উপায় কারিপাতা। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং ভিটামিন এ ও সি চুলের গোড়া শক্ত করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। শুধু তাই নয় ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষাতেও কারি পাতার কোনও তুলনা হয় না। কারিপাতায় আছে উপকারী অ্যালকালয়েড। যে কোনও আঘাত বা জখম অনায়াসে নির্মূল করতে সাহায্য করে এটি। কারি পাতা সেদ্ধ জল চুলকানি, অল্প পোড়া ইত্যাদি সারাতে ভালো কাজ দেয়।

 কারিপাতা ভিটামিন সি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটারিতে পরিপূরণ থাকায় এটি হার্টের পক্ষে খুব উপকারী। রস খেলে হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। ফলিক এবং আয়রনে ভরপুর এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর লোহিত রক্ত কনিকার মাত্রাক বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে প্রতিদিন সকালে একটা খেজুরের সঙ্গে ২ টো কারি পাতা খেলে উপকার পাবেন। কারি পাতা খেলে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক লেভেলের উপরে ওঠার সুযোগ পায় না।

আরও পড়ুন -  Poush Parvan: পৌষ পার্বণে কেন পিঠে পুলি খাওয়া হয়?