সকালে ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ভালোভাবে ক্লিন করে নিন। এরপর পছন্দের টোনার ব্যবহার করুন। এর পরের ধাপে ময়েশ্চারাইজার অ্যাপ্লাই করে নিন। মর্নিং স্কিন কেয়ারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো সানস্ক্রিন লাগানো। শুধু ফেইস নয়, বডির যেই অংশটুকু খোলা থাকছে মানে হাত, পা ও গলা সবখানেই সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন। ব্যস, বেসিক মর্নিং স্কিন কেয়ার করা হয়ে গেলো।
- বেইজ মেকআপ হবে একদম ন্যাচারাল রেগুলার অফিস লুকের জন্য হেভি ফাউন্ডেশনের বদলে,লাইট ও ন্যাচারাল মেকআপ করুন। আপনার পছন্দের প্রোডাক্ট দিয়ে বেইজ মেকআপ করে নিন। তবে সেটা যেন হয় একদমই ন্যাচারাল এবং স্কিনটোনের সাথে মানানসই। বেশি উজ্জ্বল বা গাঢ় শেইডের ফাউন্ডেশন অ্যাপ্লাই করবেন না।
- ডার্ক সার্কেল আর পিম্পল স্পট ঢাকতে পারেন কনসিলার দিয়ে মেকআপের সাহায্যে স্কিনের ছোট খাটো খুঁতগুলো খুব সহজেই হাইড করা যায়। চোখের নিচে কালো দাগ নিয়ে অনেকেই বিব্রতবোধ করেন। সেক্ষেত্রে অরেঞ্জ কালার কারেক্টর সামান্য পরিমাণে নিয়ে চোখের নিচে ও স্পটগুলোতে ড্যাব ড্যাব করে মিশিয়ে দিন। এরপর স্কিনটোনের সাথে মানানসই কনসিলার দিয়ে বেইজ মেকআপ ফিক্স করুন।
- প্রেসড পাউডার বা কমপ্যাক্ট পাউডারের ব্যবহার অনেকে সানস্ক্রিন অ্যাপ্লাই করে জাস্ট পাউডার দিয়েই বেইজ মেকআপ কমপ্লিট করে ফেলে! স্কিন ফ্ললেস ও হেলদি হলে রেগুলার লুকের জন্য কালার কারেক্টর বা ফাউন্ডেশনের দরকার হয় না। যাই হোক, বেইজ মেকআপকে পারফেক্টলি সেট রাখতে প্রেসড পাউডার বা কমপ্যাক্ট পাউডার অ্যাপ্লাই করে নিন। অয়েলি স্কিন হলে লুজ পাউডার ইউজ করতে পারেন।
- কুইক অ্যান্ড সিম্পল অফিস লুক এর জন্য চোখের সাজ রেগুলার অফিস লুকের জন্য আই মেকআপ হবে একদমই সাদামাটা। চিকন করে আই লাইনার বা কাজল দিতে পারেন। অনেকে লাইনার না দিলেও মাশকারা দিতে পছন্দ করেন। আপনার প্রিফারেন্স অনুযায়ী আই মেকআপ করে নিন।
- এবার লিপস্টিক ও হালকা করে ব্লাশ দিয়ে নিন সবশেষে ড্রেসের সাথে ম্যাচ করে মানানসই লিপস্টিক দিয়ে নিন। অফিস এনভায়রনমেন্টে খুব বেশি রঙচঙে লিপ কালার মানায় না। কমলা, বেগুনী, কড়া লাল এই ধরনের শেইড ফরমাল ড্রেসআপের সাথে অ্যাভোয়েড করা বেটার। অফিসে রেগুলার ইউজের জন্য ব্রাউন ন্যুড, পিংকিশ ন্যুড, বেবি পিংক, ব্রিক রেড এই ধরনের কালার বা ন্যাচারাল শেইডগুলো বেশ ভালো অপশন।