মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা মার্কিন ধনকুবের বিল গেটস ভবিষ্যৎ মহামারি নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেন, পরবর্তী মহামারী এমন একটি ‘ভাইরাস দ্বারা অদ্ভূত হতে পারে, যা সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যে জানি।
রবিবার, স্পেনভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এল দিয়ারিও’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ সতর্কবার্তা দেন। খবর আরটির।
বিল গেটস বলেন, ২০ বছরের মধ্যে পরবর্তী প্লেগ দেখা দেয়ার ৫০ শতাংশ আশঙ্কা রয়েছে। একটি পরিচিত ভাইরাস ছাড়াও পরবর্তী মহামারিটি হতে পারে মানবসৃষ্ট বায়োটেরর এজেন্ট বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ‘প্রাকৃতিক বিশ্ব থেকে উঠে আসা এমন কিছু’র মাধ্যমে।
বিল গেটসের জনহিতকর প্রচেষ্টা মূলত টিকা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের উপর ফোকাস করে থাকে। তার পরামর্শ, পরবর্তী মহামারী প্রতিরোধ করার জন্য দেশগুলোকে সম্ভাব্য প্যাথোজেনগুলোর গবেষণায় শত কোটি ডলার ব্যয় করতে হবে।
চলতি মাসের শুরুতে এ সংশ্লিষ্ট একটি বই প্রকাশ করেন বিল গেটস। ওই বইতে এ ধরনের একটি পরামর্শের পাশাপাশি ৩ হাজার শক্তিশালী দল গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে।
জিইআরএম (গ্লোবাল এপিডেমিক রেসপন্স অ্যান্ড মোবিলাইজেশন) শিরোনামযুক্ত টাস্ক ফোর্সকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে। এর জন্য প্রতি বছর অতিরিক্ত ১০০ কোটি ডলারের প্রয়োজন, অর্থাৎ বাজেট বাড়ানো প্রয়োজন ২৫ শতাংশ, যাতে সম্ভাব্য প্রাদুর্ভাবের সন্ধানে টাস্ক ফোর্সের কার্যক্রম অব্যহতভাবে চলতে পারে।
কোভিড-ক্লান্ত গণমাধ্যম যখন মাঙ্কিপক্সকে পরবর্তী ঘাতক প্লেগ ডু জাউর হিসেবে দেখার চেষ্টা করছে, তখন গেটস এর মাধ্যমে মানবতা ধ্বংস হওয়ার শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘এটা মহামারি হয়ে ওঠার আশঙ্কা খুব কম।’
এ সময় তিনি গণমাধ্যমে মাঙ্কিপক্সের খবরের বিষয়ে বলেন, ‘যা হোক, যদি করোনা ভাইরাস মহামারি না হত, মাঙ্কিপক্স এমনকি খবরেও থাকতো না,এটি ভাল।’
যদিও গেটসের চিকিৎসা বিষয়ে কোনো প্রশিক্ষণ বা কলেজের ডিগ্রি নেই, তবু তার কিছু ভবিষ্যদ্বাণী অনিবার্যভাবে সত্য প্রমাণিত হয়েছে।