চেক প্রজাতন্ত্রের পার্বত্য উপত্যকায় যোগাযোগের জন্য তৈরি করা হয়েছিল আকাশচুম্বি ঝুলন্ত সেতু। বিশ্বের দীর্ঘতম এ সেতুটি সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। এ সেতুর নাম ‘স্কাই ব্রিজ ৭২১’। মাত্র দু’বছরের মধ্যে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।
নির্মাণে চেক সরকারের খরচ হয়েছে ৮৪ লাখ মার্কিন ডলার।
চেক রাজধানী প্রাগ থেকে গাড়িতে করে সেতুটিতে পৌঁছতে সময় লাগছে মাত্র আড়াই ঘণ্টা। মাটি থেকে ঝুলন্ত সেতুটির উচ্চতা ৯৫ মিটার। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উচ্চতা ১ হাজার ১১০ থেকে ১ হাজার ১১৬ মিটার। ব্রিজটি ৬টি প্রধান সহায়ক দড়ি এবং ৬০টি উইন্ড দড়ি দ্বারা ঝুলে রয়েছে।
প্রথমদিন পর্যটকরা সকলেই নিজেদের মতো করে দীর্ঘতম সেতু ভ্রমণ করেন। সেতুর ছবি ক্যামেরাবন্দি করতেও ভুললেন না কেউই। সেতুটি নির্মাণের জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে তারোস প্রজেকশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানির কর্মকর্তাদের।
নতুন এ চেক সেতু একদিকে যেমন বিশ্বের নজর কেড়েছে, তেমনই সমালোচনাও কুড়িয়েছে। চেক নেচার কনজারভেশন এজেন্সির আঞ্চলিক পরিচালক মিশাল সার্ভাস এ সপ্তাহেই চেক টিভিকে জানিয়েছেন, সেতুটির আশেপাশের এলাকা রক্ষায় সমস্যা সৃষ্টি করছে। এলাকার চরিত্র বদলে গেছে বলে দাবি তার।
বর্তমানে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নেপালের ঝুলন্ত সেতুই দীর্ঘতম হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে। আগামিদিনে হয়ত স্কাই ব্রিজ ৭২১-এরও নাম নথিবদ্ধ হবে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। সূত্র: এনডিটিভি। / ছবি: সংগৃহীত।