Niqab: নেকাব বাধ্যতামূলক হচ্ছে আফগানিস্তানে

Published By: Khabar India Online | Published On:

 বোরখার পাশাপাশি নেকাব বাধ্যতামূলক হচ্ছে আফগানিস্তানে। একটি ডিক্রির মাধ্যমে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার নারীদের জন্য নেকাব বাধ্যতামূলক করছে। নির্দেশ অমান্য করলে শাস্তির ব্যবস্থাও করেছে।

শনিবার বিবিসির খবরে বলা হয়, কয়েকদশক পর প্রথমবারের মতো নেকাব বাধ্যতামূলক হচ্ছে।

কোনো নারী যদি এ আদেশ অমান্য করেন এবং মেনে চলতে অস্বীকার করেন, তাহলে তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একজনকে তিনদিনের জন্য জেলে যেতে হবে।

আরও পড়ুন -  Bengali New Year: বাঙালির নববর্ষেই খুলতে চলেছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি নতুন থানা

তালেবান ১৯৯০-এর দশকে তাদের প্রথম ক্ষমতায় থাকাকালে আফগানিস্তানের সর্বত্র বোরকা পরা বাধ্যতামূলক করে। কিন্তু গত বছর দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে তারা আফগান শহরগুলোতে তা কার্যকর করেনি।

আফগানিস্তানের অনেক নারী ইতোমধ্যেই বোরকা পরেন। কিছু অঞ্চল, বিশেষ করে শহরাঞ্চলে, তাদের চুলের উপর একটি সাধারণ আবরণ দেখা যায়। অনেকে নেকাব পরেন না।

ডিক্রিটি তালেবান সরকারের প্রিভেনশন অব ভাইস এবং প্রোমোশন অব ভার্চ্যু মন্ত্রনালয় থেকে পাস হয়েছে। তালেবান কর্মকর্তারা ডিক্রিটিকে ‘পরামর্শ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তবে কেউ যদি এ আদেশ মেনে না চলেন, তবে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন -  লোকসভার অধ্যক্ষের চিঠির জবাবে কি লিখলেন ? দুই দলত্যাগী সাংসদ, সুনীল ও শিশির

এ পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে,  প্রথম অবস্থায় তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের স্বামী, ভাই বা বাবার সাথে কথা বলা হবে। দ্বিতীয়ত, তাদের পুরুষ অভিভাবককে মন্ত্রণালয়ে তলব করা হবে। তৃতীয় পদক্ষেপ হিসেবে, পুরুষ অভিভাবককে আদালতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তিন দিনের জন্য জেল হতে পারে।

আরও পড়ুন -  BHOJPURI: ইন্টারনেটে ঝড় তুলছে স্বপ্না চৌধুরী ও মনিকা চৌধুরীর যুগলবন্দী নাচ, অবাক দর্শকরা

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে প্রকাশ্যে লিঙ্গ অনুসারে শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করা হচ্ছে। তালেবানের আন্তর্জাতিক বৈধতা অর্জনের প্রচেষ্টার একটি প্রধান স্টিকিং পয়েন্ট। মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষা গ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, নারী বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভেঙে দেয়া হয়েছে। প্রতীকী ছবি। বিবিসি।