উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লিগে লিভারপুলের বিপক্ষে ২-০ গোলে হেরে গেছে উনাই এমেরির দল।
দুই দলের ইতিহাস-ঐতিহ্যে যেমন লিভারপুল এগিয়ে ছিল, মাঠের পারফর্ম্যান্সেও পরিষ্কার ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সালাহ, সাদিও মানে, লুইস ডিয়াজ, ডিয়োগো জোটাদের আক্রমণই সামলেছে ভিয়ারিয়াল, তাতে নিজেরা আক্রমণ গড়ার সুযোগই পায়নি এমেরির শিষ্যরা।
পুরো ম্যাচে ২০টা শট করেছে লিভারপুল, যার পাঁচটা ছিল লক্ষ্যে। আর ভিয়ারিয়াল পুরো ম্যাচে শটই নিয়েছে একটা।
ইয়ুর্গেন ক্লপের অলরেড বাহিনী আক্রমণ শানিয়েছে ম্যাচের শুরু থেকেই। পুরো ম্যাচজুড়ে গোলবারের নিচে বেশ ব্যস্ত সময় কাঁটাতে ভিয়ারিয়ালের আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক জেরোনিমো রুলির।
ম্যাচের মাত্র ১৪ মিনিট থেকেই শুরুটা করেছিলো লিভারপুল। মাঠের বা পাশ ভিয়ারিয়াল রক্ষণ ভেঙে ঢুকে শট নিয়েছিলেন ডিয়াজ, তার শট ঠেকিয়ে দেন রুলি। ২২ মিনিটে অধিনায়ক হেন্ডারসনের হেড কাপিয়ে আসে ভিয়ারিয়ালের বারপোস্টকে। ৩১ মিনিটে আবারও ডিয়াজের শট আটকে ভিয়ারিয়ালকে রক্ষা করেন রুলি। ৪১ মিনিটে থিয়াগো আলকান্তারার শটও প্রতিহত হয় বারপোস্টে লেগে। প্রথমার্ধ্ব শেষে গোলশূণ্য ছিল।
দ্বিতীয়ার্ধ্বের ৫০ মিনিটের মাথাতে ভিয়ারিয়ালের জালে বল জড়িয়েছিল লিভারপুল। তবে অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয় সেই ফ্যাবিনহোর সেই গোল। তবে ৫৩ মিনিটে এসে আর শেষ রক্ষ আহয়নি ভিয়ারিয়ালের। ডান প্রান্ত থেকে হেন্ডারসনের ক্রস পা ছুঁয়ে ঠেকাতে চেয়েছিলেন ভিয়ারিয়ালের পারভিস এস্তুপিনিয়ান, সেটা তো পারেননি উল্টো তার পা ছুঁয়ে বলটা দিক বদলে ঢুঁকে যায় নিজেদের জালেই। আত্মঘাতী গোলেই লিড নেয় লিভারপুল।
মিনিট তিনেক পর আবারও উল্লাসে মাতে অ্যানফিল্ড। এবার আর আত্মঘাতী না, দলের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন সাদিও মানে। সালাহর বাড়িয়ে দেয়া বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে আলতো টোকায় বল জালে জড়াতে একটুও ভুল করেননি সেনেগালিজ এই স্ট্রাইকার।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও অবশ্য ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল ভিয়ারিয়াল। তবে তাদের সেই চেষ্টা শুধু চেষ্টাই থেকে গেছে। শেষ ১৬ জুভেন্টাস আর কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্নকে বিদায় করা ভিয়ারিয়াল সেমিফাইনালে লিভারপুলের জন্য আর চমক হয়ে উঠতে পারেনি।