‘কেজিএফ’ মুক্তির পর বক্সঅফিস রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ডের দিকে এগিয়ে চলেছে।
তবে প্রথম কিস্তিতে তার স্ক্রিনটাইম কম হলেও দ্বিতীয় কিস্তিতে পুরো সিনেমা জুড়েই ছিলেন তিনি।
ইনোসেন্ট লুক, সাবলীল অভিনয় সবকিছুই দর্শকমহলে প্রশংসা কুড়াচ্ছে। এমন সাড়ায় অভিনেত্রী নিজেও আপ্লুত। নিজের ইন্সটাগ্রামের স্টোরিতে এমন কথা-ই কথা বলেছেন, কেজিএফ তারকা।
২০১৬ সালে শ্রীনিধি সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন এবং ‘মিস সুপারন্যাশনাল’ খেতাব জিতেন। এই প্রতিযোগিতা থেকে বের হবার পরপরই ‘কেজিএফ’ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পান তিনি। এরপর তিনি অডিশন দেন এবং লুক টেস্ট দেন পরিচালক প্রশান্ত নীলের কাছে।
View this post on Instagram
ছোটবেলা থেকেই ভীষণ সিনেমাপ্রেমী। ইচ্ছে ছিলো সিনেমায় কাজ করার কিন্তু এত দ্রুত যে প্রস্তাব পাবেন, সেটা কখনও কল্পনাও করেন নি।
সাক্ষাৎকারে শ্রীনিধি জানান, আমার স্বপ্ন ছিল সিনেমা করার কিন্তু সুন্দরী প্রতিযগিতা থেকে বের হবার পরপরই কেজিএফ সিনেমায় অভিনয়ের প্রস্তাব পাই।
View this post on Instagram
দ্রুত সবকিছু হয়ে যাবে এটা যেন বিশ্বাস-ই হচ্ছিলো না আমার। আমি সত্যি অনেক ভাগ্যবতী যে, ক্যারিয়ারের শুরুর দিকেই সিনেমায় কাজ করার সুযোগ পাবো, ভাবিনি। পুরো বিষয়টাই আমার কাছে স্বপ্নের মত।
পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি প্রথমে বিশ্বাস-ই করতে পারছিলাম না যে, আমি সুযোগ পেয়েছি। এরপর পরিচালকের সঙ্গে মিটিং করি এবং গল্প এবং আমার চরিত্র সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি। তখন এটার কোন পার্ট বা চ্যাপ্টার ছিলো না। আমি এই চরিত্রটি আমার জন্য উপযুক্ত কিনা বা ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারবো কিনা সেসব নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম না!
শ্রীনিধিকে ‘কেজিএফ’-এ ইয়াশের প্রেমিকা রিনা দেশাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। সুন্দরী প্রতিযোগিতা থেকে বের হয়েই এই সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে এই সিনেমার সঙ্গেই ছিলেন তিনি।
তার কথা, “আমি ‘কেজিএফ’ মুক্তির অপেক্ষায় ছিলাম। এটি দুই অংশে মুক্তি পেয়েছে। এরমধ্যে ‘কোবরা’ টিমের কাছ থেকে ফোন পেলাম। যখন গল্পটি শুনেছিলাম তখন আমি ধারণাটি পছন্দ করেছি।”