Nil Sasthi: নীল ষষ্ঠীর পিছনে লুকিয়ে থাকা পৌরাণিক কাহিনী…

Published By: Khabar India Online | Published On:

 আজ নীল ষষ্ঠী পুজো। বাংলার ঘরে ঘরে সন্তানের মঙ্গল কামনার উদ্দেশ্যে সকল মায়েরা নীল উপোস করছেন। এর পিছনে থাকা পৌরাণিক কাহিনী একটু পড়ে নিন।

 ভগবান শিবের অপর এক নাম নীলকন্ঠ মহাদেব। ভৈরব হিসেবে তিনি স্বয়ং আদ্যা শক্তি জগদ্ধাত্রী মায়ের ভৈরব, তাই অপর নাম নীলকন্ঠ ভৈরব। পৌরাণিক মতে, সমুদ্র মন্থনের সময় যে গরল উঠে এসেছিল তা পান করেই মহাদেব পরিণত হন নীলকন্ঠে।

সেই গরলের তেজ থেকে মুক্তি দিতে স্বয়ং দেবী তাঁরা তাঁর নিজ বক্ষের দুগ্ধ নিজের স্বামীকে পান করান। এটিই দেবী তাঁরার বিশ্ব মাতৃকা রুপ এবং তারাপীঠের শিলা মুর্তিতেও এই রুপ প্রকাশ পেয়েছে। নীলকন্ঠ শিবের পুজো হয় চৈত্র সংক্রান্তির ঠিক আগের দিন। কথিত আছে, এই দিনে ভক্তগন নীলকন্ঠের সাথে নীলাবতীর বিবাহ উপলক্ষে মেতে উঠেন। নীল সন্নাসীরা মহাদেবের নাম করে বাড়ি বাড়ি ভিক্ষে করে সংযমে দিন কাটান।তার সাথে চলে লৌকিক গান, শিবের মাহাত্ম্য প্রচার।

আরও পড়ুন -  বৃষ্টি ও বজ্রপাত শীতের মধ্যে আবারো, কোন জায়গায় আবহাওয়া সতর্কতা জারি

লোককথা অনুযায়ী, এক ব্রাহ্মণীর সন্তান বেশি দিন না বাঁচায় স্বয়ং দেবী তাদের জানান, নীল ষষ্ঠীর উপোস করে দেবাদিদেব মহাদেবের মাথায় জল ঢালতে। এতে তাদের সন্তান আরগ্য লাভ করবে।এই মান্যতায় এখনও ঘরে ঘরে প্রত্যেক মায়েরা তাদের সন্তানের সুস্থতা কামনায় নীলের ব্রতী করেন।

আরও পড়ুন -  প্রকৃতির মাঝে, সাদা পোশাকে খোলা পিঠ, সবুজ জলের মধ্যে অভিনেত্রী মৌনি রায়

 মায়েরা নিজের সন্তানের মঙ্গল কামনায় সারা দিন উপোস করেন এবং সন্ধ্যা বেলায় শিবের মাথায় জল ঢালেন, প্রদীপ জ্বালান। এটা অনেকটা রূপক হিসেবে পরিচিত, আসলে বিষ পান করে শিবের শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়ার পর প্রদীপের উষ্ণতায় তাঁর শরীরের তাপ বৃদ্ধি করা হয়। এদিন সকল মায়েরা সারাদিন উপোস করে শিবের মাথায় জল ঢালার পর ফলাহার করেন।

আরও পড়ুন -  Tea Garden: চা বাগান এলাকার মানুষদের সার্বিক উন্নতির প্রচেষ্টা

 নীলষষ্ঠীর (Nil Sasthi) পুজোর দিন বাড়ির মহিলারাই সন্তানের মঙ্গল কামনায় ব্রত পালন করেন। শিব (Lora Shiva) মন্দিরগুলিতে ভিড় জমান ভক্তেরা। এমনকী যাদের বাড়িতে শিবলিংঙ্গ আছে, তারা বাড়িতেই আয়োজন করেন পুজোর।

 চৈত্র সংক্রান্তির আগে অর্থাৎ চড়ক উৎসবের আগের দিন নীলপুজো পালিত হয়। এই বছর নীলপুজোর তারিখ ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ ৩০ চৈত্র, বুধবার।

তাই এই নিয়ম যুগ যুগ ধরে চলে আসছে।