প্রাতরাশ না করেই কফিতে চুমুক দেয়ার অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভাল নয়।
খালি পেটে কফি খেলেই হজমশক্তির দফারফা হতে পারে। এছাড়া পাচনক্রিয়া এবং পেট পরিষ্কার হওয়ার গোটা কাঠামোটাই এলোমেলো হতে পারে। দেখা দিতে পারে ‘ইরিটেবল বাওয়েল সিন্ড্রোম’ বা ‘আইবিএস’।
আবার অনেকেই দুধ চিনি দিয়ে কফি খেতে পছন্দ করেন। এই অভ্যাস আরও খারাপ। প্রাতরাশ না করে সকালে খালি দুধ দিয়ে কফি খেলে আলসার হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে।
ঘুম থেকে উঠলে শরীরে কর্টিসোল হরমোন উত্পাদনের হার বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, খালি পেটে একটু বেশি মাত্রায় কফি খেলেই কর্টিসোল হরমোনের ক্ষরণ আরও বেড়ে যায়। এতেই ঘটে বিপত্তি। মানসিক চাপ বা ‘স্ট্রেস’-এর কারণ এই হরমোনটি। ফলে সকালে উঠেই দু’ তিন কাপ কফি খেয়ে ফেললে মন ভাল হওয়ার বদলে মানসিক চাপ বেড়ে যায়। শরীরে স্বাভাবিক মাত্রায় কর্টিসোলে ক্ষরণ বিপাকহার, রক্তচপ আর রক্তে শর্রকার মাত্রা নিয়ত্রণে রাখে। তবে অত্যধিক মাত্রায় এর ক্ষরণ হাড়ের ক্ষতি করে, উচ্চ রক্তচাপ, টাইপ ২ ডায়াবিটিস এমনকি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়ায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠে কফি খেলে বেশ তরতাজা লাগে। কফিতে থাকা ক্যাফিন খুব সাময়িক ভাবে শক্তির জোগান দিতে পারে। তবে ক্যাফিন নামক পদার্থটি শরীরে জলের ঘাটতি ঘটায়। সকালে খালি পেটে কফি খেলে ডিহাইড্রেশনের মাত্রা আরও বেড়ে যেতে পারে। গ্রীষ্মের দিনে এই অভ্যাস শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।