দিনে তিন-চার চামচ তেলের বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। যাঁদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাদের তো একেবারেই তেল খাওয়া উচিৎ নয়। তেল বেশি খাওয়া হলে হজমের সমস্যা, পেট খারাপ ও পেট জ্বালা করা এসব সমস্যা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ওবেসিটির মতো সমস্যাও দেখা দেয়। কিন্তু হাজার চেষ্টা করেও যারা রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাতে পারেন না, তাদের জন্য রয়েছে দারুণ কিছু কৌশল।
- রান্নায় ননস্টিক কড়াই ব্যবহার করুন। এতে তেল কম লাগে। আর রান্না তলায় লেগেও যায় না। এই কড়াইতে অল্প তেলে ঢাকা দিয়ে রান্না করলে চটজলদি রান্না হয়ে যায়।
- চামচে মেপে তেল দিন। রান্নায় অতিরিক্ত তেল দিলেই যে তার স্বাদ বেড়ে যায় এমনটা একে বারে নয়। বেশি তেলে রান্না না করে, অল্প তেলে ঢেকে রান্না করে দেখুন।
- মুরগি কিংবা মাছ অনেকেই এখন বেক করে খান। বিশেষত যাঁরা ডায়েট করছেন। কষিয়ে রান্না করতে গেলে অনেকটা বেশি তেল লাগে। তাই তেলের ব্যবহার এড়াতে মশলা মাখিয়ে মাছ, মাংস বেক করে নিতেই পারেন। নামমাত্র তেল বা মাখনেই বেক করা যায়।
- যেকোনো সবজি ভাজার আগে ভাপিয়ে নিন। তাতে রান্না করতে যেমন কম সময় লাগে তেমনি তেলও খুব কম লাগে। বজায় থাকে পুষ্টিগুণও। মাছ, ডিম, পনির কিংবা মুরগির বিভিন্ন পদও ভাপেই রান্না করা যায়। এই পদ্ধতিতে রান্না করলে তেলের সাশ্রয় অনেক কম লাগে।
- মশলা মাখিয়ে রাখুন আগে থেকে। বেশ কিছুক্ষণ আগে মাছ, মাংস কিংবা পনিরে মশলা মাখিয়ে রেখে দিন। এতে রান্নার স্বাদও বাড়ে আর তেলও কম লাগে। এক্ষেত্রে মশলা মাখানোর সময় দইয়ের ব্যবহার করতে পারেন। দই ব্যবহার করলে রান্নায় খুব বেশি তেল লাগে না।