তাপমাত্রা বাড়ছে। অস্বস্থিকর হতে চলেছে সেই আঁচ এখন থেকেই টের পাচ্ছে সকলে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র বন্ধ করে দিলেই গরমে হাসফাঁস হতে হয়। আবার দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকা স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল নয়। চিকিৎসকরা এই বিষয়ে সাবধান করছেন। তা হলে উপায় কী? এসি থাকুক বা না থাকুক, কিছু কৌশল মানলেই ঘর ঠান্ডা রাখা সম্ভব। চলুন দেখি কি ভাবে গরম থেকে বাঁচার উপায়।
- এলইডি বাল্ব ব্যবহার করতে হবেঃ সাধারণ টিউব লাইট-এ ঘর বেশি গরম হয়। সম্ভব হলে কম আলোর এলইডি ব্যবহার করুন। এতে আপনার ঘর ঠান্ডা থাকবে। দিনেরবেলা খুব প্রয়োজন না হলে অযথা আলো জ্বালিয়ে রাখবেন না।
- গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে হবেঃ গরমের দিনে ঘরের অন্দরসজ্জায় সামান্য পরিবর্তন আনলেই তাপদাহ থেকে স্বস্তি পাওয়া সম্ভব। ঘরে গাঢ় রঙের পর্দা ব্যবহার করতে পারেন। হালকা রঙের পর্দায় ঘর বেশি গরম হয়ে যায়। তা বলে বেশি গাঢ় রঙ চলবে না।
- খস খসে পর্দা ব্যবহার করুনঃ জানলায় বা বারান্দায় ব্যবহার করুন খেসের পর্দা। খেস তাপ আটকাতে সক্ষম।
- হালকা রঙের সুতির চাদর ব্যবহারঃ হালকা রঙের পাতলা সুতির চাদর বিছানায় পাতুন। গদির উপরে একটা মাদুর বা শীতলপাটি পেতে রাখতে পারেন এতে বিছানা ঠান্ডা থাকবে। তাছাড়া শোবার সময় আরাম পাবেন।
- লবন জল দিয়ে ঘর পরিষ্কার করুনঃ ঘর মোছার সময়ে জলের মধ্যে বেশ খানিকটা লবন মিশিয়ে দিতে পারেন। লবন জল দিয়ে ঘর মুছলে ঘরের তাপমাত্রা অনেকটাই কমবে। তা ছাড়া এক বাটি বরফ নিয়ে তা টেবিল ফ্যানের সামনে রেখে দিন। বরফের জন্য ফ্যানের হাওয়া ঠান্ডা হবে। সারা ঘরে ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে পড়বে। এতে দারুন আরাম পাবেন।
- অতিরিক্ত আসবাব পত্র রাকবেন নাঃ ঘর থেকে বাড়তি জিনিসপত্র সরিয়ে ফেলুন। ঘর যত ঘিঞ্জি হবে, তত গরম বাড়বে। ফাঁকা ঘরেই হাওয়া চলাচল ভাল হবে। গরমও কমবে। এই কাজটা করে দেখুন।
- ঘরে গাছ রাখুনঃ ঘরে গাছ রাখলেও গরমের দিনে বেশ আরাম পাওয়া যায়। জানলার ধারে সাজিয়ে রাখতে পারেন গাছগুলি। একদিকে যেমন দেখতে ভালো লাগবে আবার অন্যদিকে ঘর ঠান্ডা হবে।