Zelensky – Putin: সময় এসেছে একটি অর্থপূর্ণ বৈঠকেরঃ প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি

Published By: Khabar India Online | Published On:

রাশিয়াকে অর্থপূর্ণ শান্তি সংলাপ শুরুর তাগিদ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শনিবার এক ভিডিওবার্তায় এ আহ্বান জানান তিনি।

জেলেনস্কি বলেন, আমি চাই সবাই আমার কথা গুরুত্ব সহকারে শুনুক, বিশেষ করে মস্কো। এখন সময় এসেছে একটি অর্থপূর্ণ বৈঠকের, সংলাপের। এখন সময় এসেছে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও ইউক্রেনের জন্য ন্যায়বিচারের। রাশিয়াকে অবশ্যই উদ্যোগী হতে হবে এ ব্যাপারে। তা না হলে এমন ক্ষতির মুখে পড়বে দেশটি, যা কাটিয়ে উঠতে কয়েক প্রজন্ম ধরে চেষ্টা করতে হবে।

আরও পড়ুন -  নগদ অর্থ পাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা, শুক্রাণু দিয়ে

মস্কোকে সতর্ক করে জেলেনস্কি বলেন, অন্যথায় রাশিয়ার এমন ক্ষয়ক্ষতি হবে, তা কাটিয়ে উঠতে আপনাদের কয়েক প্রজন্মের প্রয়োজন পড়বে।

ক্রিমিয়া দখলের আট বছর পূর্তি উপলক্ষে মস্কোয় আয়োজিত বিশাল র‌্যালির প্রতি ইঙ্গিত করে জেলেনস্কি বলেন, ক্রিমিয়া দখলের বার্ষিকী সংশ্লিষ্ট অনেক কথাই আজ মস্কোতে শোনা গেছে।

রুশ নাগরিকদের উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেন, কেবল কল্পনা করুন মস্কোর স্টেডিয়ামে পড়ে আছে ১৪ হাজার মৃতদেহ এবং হাজার হাজার আহত ও অঙ্গহানির শিকার হওয়া মানুষ। এই আগ্রাসনে ইতোমধ্যেই রাশিয়ার বহু হতাহত হয়েছে।

আরও পড়ুন -  বাড়িতেই কয়েকটি সহজ উপকরণে টেস্ট করুন নিজের প্রেগনেন্সি, টাকা খরচ না করে

জেলেনস্কি বলেন, ‘এটাই যুদ্ধের মূল্য। তিন সপ্তাহের সামান্য কিছু বেশি সময়ে। এই যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে।

পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোকে কেন্দ্র করে ২০০৮ সাল থেকে দ্বন্দ্ব চলছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। ওই বছরই ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন করেছিল ইউক্রেন। সম্প্রতি ন্যাটো দেশটিকে পূর্ণ সদস্যপদ না দিলেও ‘সহযোগী সদস্যপদ’ হিসেবে মনোনীত করার পর আরও বাড়ে এই দ্বন্দ্ব।

ন্যাটোর সদস্যপদের জন্য আবেদন প্রত্যাহারে ইউক্রেনকে চাপে রাখতে গত দুই মাস রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে প্রায় দুই লাখ সেনা মোতায়েন রেখেছিল মস্কো।

আরও পড়ুন -  Vladimir Putin: আরব লীগের প্রতি পুতিনের আহ্বান, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়তে

এই কৌশল কোনো কাজে আসেনি। উপরন্তু এই দু’মাসের প্রায় প্রতিদিনই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা অভিযোগ করে গেছে যে কোনো সময় ইউক্রেনে হামলা চালাতে পারে রুশ বাহিনী।

অবশেষে গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দুই ভূখণ্ড দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া, তার দু’ দিন পর, ২৪ তারিখ ইউক্রেনে ‘বিশেষ সামরিক অভিযান’ শুরুর নির্দেশ দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।