আতঙ্কের মধ্যে ঘুম আসত না, প্রতিদিন বোমার শব্দ!

Published By: Khabar India Online | Published On:

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ   প্রতিদিন বোমার শব্দ কানে আসতো। আতঙ্কের মধ্যে ঘুম আসত না। খাবারের অভাব, পানীয় জলের অভাব ,তো ছিলই। বুঝতে পারছিলাম না এখান থেকে কিভাবে বাড়ি ফিরব । একসময় খারকিভ খালি করার নির্দেশ আসে ।-3 ডিগ্রি তাপমাত্রা উপেক্ষা করে 13 , 14 কিলোমিটার হেঁটে পিসোচীনে এসেছিলাম ।কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের একটা শিবিরে রাখে। সেখানে দিন কয়েক থাকার পর তারাই বাসে করে রোমানিয়া সীমান্তে পৌঁছে দেয় ।

আরও পড়ুন -  VIRAL: আম্রপালি দুবেকে উত্তপ্ত নিরাহুয়া বন্ধ ঘরে, ভাইরাল ভিডিও

রোমানিয়া পৌঁছানোর পর আমাদের আর কোনো অসুবিধা হয়নি ।ভারতীয় দূতাবাস থেকে আমাদের খাবারের ব্যবস্থা গরম পোশাক সবই করা হয় ।পরে আমাদের ভারতীয় বিমানে তুলে দিল্লি পৌঁছে দেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে কোলকাতা । তারপর বাড়ি ফিরে। মালদা ইংরেজবাজার শহরের মালঞ্চ পল্লী বাড়িতে বসেই কথাগুলো বলছিলেন খারকিভ ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী মৌমী সিংহ

আরও পড়ুন -  German: জার্মানি, ইউক্রেনকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিচ্ছে

ইউক্রেন থেকে বাড়ি ফিরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন মৌমি। তবে ডাক্তারি পরোটার কোথায় কিভাবে শেষ করবেন তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন।
বমির বাবা সন্দীপ কুমার সিংহ পেশায় ব্যবসায়ী মা মিতা সিংহ।

খারকিভ ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ছাত্রী মৌমী সিংহ।

ইংরেজবাজার শহরের মালঞ্চ পল্লীতে তাদের বাড়ি। মৌমি তাদের একমাত্র সন্তান। দু’বছর আগে ইউক্রেনে খারকিভ ন্যাশনাল মেডিকেল ইউনিভার্সিটি তে ভর্তি হয়।
মৌমীর মা জানান মেয়ে বাড়িতে ফিরে আসায় খুব খুশি তারা। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকার কে অসংখ্য ধন্যবাদ। শতকোটি প্রণাম। তবে রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার যাতে আগামী দিনে পড়ার দায়িত্বটা নেয় পাশাপাশি এই দেশ পড়ার ব্যবস্থা করে দেয়। সে বিষয়েও আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন -  Bear Grylls: যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে বিয়ার গ্রিলস, ইউক্রেনের একটি গ্যাস স্টেশনে