বাংলার আবহাওয়া ও রাজস্থানের আবহাওয়া মিলে মিশে একাকার। সকালে এমনই গরম যেখানে ঘাম হবেনা। আর রাতে তাপমাত্রা সেই তুলনায় অনেক কম। বাংলা এই শুষ্ক অস্বাস্থ্যকর আবহাওয়ার কবলে থাকবে আগামী ১৫ই মার্চ থেকে এপ্রিল পর্যন্ত। এই চলতি সপ্তাহতেই তাপমাত্রা দাঁড়াবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে। এমনটাই খবর দিয়েছে ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর।
শীতের হাল বেহাল, এর মূলে রয়েছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ। বঙ্গোপসাগরের উত্তর দিকে একটি ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হয়েছেন যার দরুণ এই নিম্নচাপ ঘুরে ফিরে আসছে। ওদিকে উত্তর ও উত্তর পশ্চিম দিকের বায়ু খানিকটা সক্রিয়, বোধ হয় মিলতে পারে একটু স্বস্তি। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পেতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রিতে পৌঁছাবে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও থাকবে প্রায় ২০ থেকে ২২ ডিগ্রির আশেপাশে।
বেলা বেড়েছে কুয়াশার চাদরও হটে গিয়েছে। ভোরের দিকে শীতের হালকা আমেজ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রাও বেড়ে চলেছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দাঁড়াতে পারে ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে গিয়ে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও হতে পারে প্রায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আপেক্ষিক আদ্রতা থাকবে ৮৮%।
হাওয়া অফিস বারবার করে বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়ে বসলেও বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত সেই বৃষ্টিকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। আগামী কয়েকদিন বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলায় হালকা বৃষ্টিপাত হতে পারে। তবে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও বৃষ্টির আভাস দিয়ে রেখেছে হওয়া অফিস। উত্তরবঙ্গের কিছু জেলা সহ দক্ষিণবঙ্গেও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদ, নদিয়া জেলাগুলিতে দুরন্ত বৃষ্টি আসতে পারে।