পৃথিবীতে দশ হাজারের বেশি প্রজাতির পাখির খোঁজ মিলেছে এখনও পর্যন্ত। এর মধ্যে এমন কিছু পাখি আছে যাঁদের দৈহিক গঠন, জমকালো রং এবং অসাধারণ কিছু গুণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দরতম পাখি হিসেবে স্বীকৃত।
১. রেইনবো লরিকিট
রেইনবো লরিকিট একটি মাঝারি আকারের তোতা যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় বেশি দেখা যায়। আর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিমিটার এবং ওজন প্রায় ৭০ থেকে ১৫০ গ্রাম। এই পাখির মাথার রং গভীর নীল এবং বাকি অংশ সবুজ। রেইনবো লরিকিট বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে একটি।
২. গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ
গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ চড়াই জাতীয় পাখি যা অস্ট্রেলিয়ায় সাধারণত বেশি দেখা যায়। গোল্ডিয়ান ফিঞ্চ খুব ছোটো আকারের পাখি। এই পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ১২০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার। এই পাখির মাথার রং লাল, কালো এবং হলুদ হয় এবং পালকের রং সবুজ, নীল এবং হলুদ। এরা ঝাঁক বেধে থাকতে বেশি পছন্দ করে।
৩.কিল-বিল্ড টৌকান
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর পাখিদের মধ্যে কিল-বিল্ড টৌকানের নামও রয়েছে। এই সুন্দর পাখি সাধারণত দক্ষিণ আমেরিকার বনাঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। এর ঠোটের রং সবুজ, লাল এবং হলুদ মিশ্রণ।
৪. স্কারলেট ম্যাকাও
মধ্য ও দক্ষিণ আমেরিকার চিরস্থায়ী আর্দ্র বনাঞ্চলের বাসিন্দা স্কারলেট ম্যাকাও। এরা ম্যাকাও প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে বৃহত্তম ও সুন্দরতম সদস্য। উজ্জ্বল লাল, নীল ও হলুদ রঙের সমাহারে স্কারলেট ম্যাকাওয়ের মোহনীয় রূপ সকলকেই মুগ্ধ করে। সেইসঙ্গে এর উপরের দিকের হলুদ ডানার শেষাংশে সবুজ রঙেরও বেশ সুন্দর একটা প্রলেপ রয়েছে। শক্তিশালী বাঁকা ঠোঁঠের এই পাখি দীর্ঘতম সময় উড়তে পারে।দক্ষিণ-পূর্ব মেক্সিকো থেকে আমাজনীয় পেরু ও বলিভিয়ায় এই পাখি বেশি দেখা যায়।
৫.অস্ট্রেলিয়ান রাজা তোতা
এটি সুন্দর ধরণের একটি তোতা পাখি যা সাধারণত অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায়। এই তোতা পাখির দৈর্ঘ্য প্রায় ৪০ থেকে ৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এই পাখি পাহাড়ি অঞ্চলের গাছ গুলিতে বেশি দেখা যায়। এই পাখির মাথার রং গভীর লাল এবং বাকি পালক এবং লেজ গভীর সবুজ।