বাড়িতে ঢুকতেই প্রথমে যে ঘরটি আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সেটি হল বসার ঘর। ছোট্ট হলেও যদি হয় সবুজ-মনরোম ভাবুন কতটা প্রশান্তির হবে। ঘরের কোনায়, দেয়ালে, টেবিলের উপর, সোফার পাশে বা জানালার পাশে সুন্দর করে বসার ঘর সাজাতে পারেন গাছ দিয়ে। বসার ঘর সাজানোর জন্য আপনাকে ইনডোর প্ল্যান্ট বেছে নিতে হবে। কারণ বেশিরভাগ বসার ঘরেই কড়া সূর্যের আলো আসে না। চলুন জেনে নিই বসার ঘর সাজাতে কি কি গাছ রাখতে পারি।
মানিপ্ল্যান্ট
ইনডোর প্ল্যান্ট এর কথা বললেই প্রথমে মাথায় আসে পাথস বা মানিপ্ল্যান্টের কথা। অল্প যত্নেও বেশ ভালো থাকে এই গাছ। গাছের মাটি শুকিয়ে গেলে সামান্য জল দিতে হয় আর বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে গাছ বাইয়ে দিতে হয়। এই গাছের পাতা দেখতে অনেকটা হৃৎপিণ্ডের মতো। কম আলো এবং ঠান্ডা সহ্য করার অসাধারণ ক্ষমতা আছে এই গাছের। পথোস ফরমালডিহাইড এবং কার্বন মনোক্সাইড থেকে বাতাসকে মুক্ত করে। বায়ুদূষণকারী গ্যাসের সঙ্গে কাঠের আসবাবে ব্যবহৃত আঠা থেকে তৈরি দূষণ এই গাছ শোষণ করে নেয়।
ব্যাম্বু
ইনডোর ব্যাম্বু বা সোজা বাংলায় বাঁশ গাছ। এটি লাকি ব্যাম্বু নামেও পরিচিত। চিনা ভাষায় ‘ফু গোয়ে ঝু’ নামে পরিচিত। গাছটি একদিকে সুন্দর দেখতে, অন্যদিকে এই গাছের সবুজ ঘরের বাতাসকে শুদ্ধ রাখে । অনেকগুলি প্রজাতির মধ্যে চাইনিজ ব্যাম্বু নামে পরিচিত গাছগুলি ছোট আকারের হয়। এগুলো খুব সহজেই কম পরিশ্রম ও পরিচর্যাতে ঘরে রাখা যায়। একটি কাঁচের পাত্রে সামান্য জলেই অনেকদিন রাখা যায়। এর থেকে অনেক সিস্টার প্লান্ট এর জন্ম হয়। তখন দেখতে ভারি সুন্দর লাগে। এছাড়াও জায়গা ভেদে বিভিন্ন আকারের ব্যাম্বু গাছ লাগাতে পারেন।
পাথরকুচি
পাথরকুচি একটা পরিচিত গাছ। এর ভেষজগুণ অনেক। খুব কম যত্নেই পাথরকুচি গাছ হয়ে থাকে। একটি ম্যাচিওর পাতা থেকেই এর গাছ হয়ে থাকে। ঘরের আর্দ্রতা দূর করে ঘরকে স্বাস্থ্য সম্মত রাখে এই গাছ । সাধারণ সার মিশ্রিত মাটিতেই পাথরকুচি হয়ে থাকে। মাঝে মাঝে টবের মাটি আঙ্গুল দিয়ে শক্ত করে দিলে পাতাগুলি সুন্দর ভাবে ছড়িয়ে যায়।
মনস্টেরা ডেলিসিওসা
ম্যাক্সিকো এবং দক্ষিণ পানামায় এই গাছটি পাওয়া যায় । তবে এর সৌন্দর্যের জন্য ঘরে ঘরে এই গাছ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। যারা ঘরে সবুজের সৌন্দর্য ও বিশুদ্ধ বাতাসের ছোঁয়া চান, তাদের জন্য এই প্রজাতির গাছ উপযুক্ত । গাঢ় সবুজ পাতার জন্য এর রূপ আলাদা সৌন্দর্য দিয়ে থাকে। এতে সপ্তাহে দুবার জল দিতে হয় । সরাসরি সূর্যালোকে একে রাখতে নেই।
এছাড়াও রাখতে পারেন স্নেক প্ল্যান্ট, এ্যালোকেশিয়া, এ্যালোভেরা,স্পাইডার প্ল্যান্ট,মথ অর্কিড,মেইডেনহেয়ার ফার্ণ এর মতো গাছও।