কোয়ার্টারে এক পা লিভারপুলের

Published By: Khabar India Online | Published On:

বদলি হয়ে নেমে রবার্তো ফিরমিনো আরও একবার প্রমাণ করলেন তিনি ফুরিয়ে যাননি এখনও। ফিরমিনো দিয়েই শুরু, তারপর ম্যাচের শেষভাগে এসে মোহাম্মদ সালাহর গোলে সান সিরো থেকে জয় নিয়েই ফিরলো লিভারপুল।

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের (উচল) রাউন্ড অব সিক্সটিনের ম্যাচে ইতালির ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হয়ে তাদের মাঠ থেকেই ২-০ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যেন এক পা দিয়েই রাখলো ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা।

 সান সিরোতে খেলতে নেমেও ম্যাচে ইন্টার মিলান ছিলো যথেষ্ট ম্লান। প্রথমার্ধ্বে দুই দলের খেলাছে বিরক্তিকর ধীরগতির ফুটবল। দুই দলই কিছু অ্যাতাক করলেও সেগুলোতে তেমন ধার ছিলো না গোল করার মতো। তবে এর মাঝেই ম্যাচের ১৬ মিনিটে হাকান কালহানোগলুর শট পোস্টে লেগে ফিরে না আসলে অবশ্য লিড নিতেই পারতো ইন্টার। এরপর প্রথমার্ধ্বের বাকি সময়টা দর্শকদের যেন বিরক্তিই উপহার দিয়ে গেছে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

আরও পড়ুন -  শিয়ালদা ব্রিজে মেরামতির কাজ, তাতে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন যাত্রীরা

দ্বিতীয়ার্ধ্বে জেগে ওঠে সিমোনে ইনজাঘির দল। খেলতে শুরু করে আক্রমণাত্মক খেলা। এই অর্ধ্বের প্রথম ১০ মিনিট তো ইন্টারের আক্রমণ রীতিময় ত্রাস ছড়িয়েছে লিভারপুলের ডি-বক্সে। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে দূরপাল্লার এক পাস থেকে এডিন জেকোর করা গোল অফসাইডে বাতিল না হলে ইন্টার এগিয়ে যেতে পারতো তখনই। তবে এতো বেশি আক্রমণাত্মক খেলায় যেন হিতে বিপরীত হলো ইতালিয়ান জায়ান্টদের জন্য জন্য। ইন্টারের আক্রমণের কড়া জবাব দিতে একটুখানিও ছাড় দিতে রাজি নয় উচলে ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল দলটি। দ্বিতীয়ার্ধ্বে করা ৪ পরিবর্তনেই যেন ম্যাচটি উঠে যায় লিভারপুলের ক্লপের হাতে।

আরও পড়ুন -  Tara Sutaria: শারীরিক মিলন প্রিয়, খাবারের থেকেওঃ তারা সুতারিয়া

সদ্যই আফ্রিকান ন্যাশন্স কাপ (অ্যাফকন) জিতে আসায় অনেকটা ক্লান্তির জন্য এই ম্যাচে নিজেকে যেন ঠিকভাবে মেলে ধরতে পারেননি সাদিও মানে। ৫৯ মিনিটে তার বদলে ক্লপ মাঠে নামিয়ে দেন তরুণ লুইস ডিয়াজকে। লিভারপুলের আক্রমণের ধার বেড়ে যায় মুহুর্তের মধ্যে।

আর গত লিগ ম্যাচে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখালেও এই ম্যাচে প্রথম থেকেই যেন অনেকটা নিষ্প্রভ পর্তুগিজ স্ট্রাইকার ডিয়েগো জোটা। তাই তো দ্বিতীয়ার্ধ্বের শুরুতেই তাকে তুলে ব্রাজিলিয়ান ফিরমিনোকে মাঠে নামিয়ে দেয় লিভারপুল বস ক্লপ। আর মাঠে নামার ৩০ মিনিটের মাথায় গিয়েই ফিরমিনোও রাখলেন কোচের আস্থার প্রতিদান। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে অ্যান্ডি রবার্টসনের কর্ণারে মাথা ছুঁয়ে বল জালে জড়িয়ে অলরেডদের উল্লাসে মাতান ফিরমিনো।

আরও পড়ুন -  Computer Training: কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ করে মার্কশিট এবং সার্টিফিকেট পেলেন 10 জন ছাত্রী

এরপর বাকিটা সময়ও সান সিরোতে রাজত্ব করেছে লিভারপুলই। ফিরমিনোর পর ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গিয়ে স্কোরকার্ডে নাম লেখান অ্যাফকনে রানার্সআপ হয়ে ফেরা মিশরের মোহাম্মদ সালাহ। ইন্টারের রক্ষণের ফাঁক-ফোকরের সুযোগ নিয়ে ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আর্নোল্ডের কাছ থেকে ডি বক্সে বল পেয়ে গোল করতে একটুও ভুল করেননি এই মৌসুমে লিভারপুলের সবচেয়ে সফল এই ফুটবলার। এই গোলেই উচলে এই মৌসুমে ৭ ম্যাচে ৮ গোল নিয়ে শীর্ষ গোলাদাতার তালিকায় তিন নাম্বারে উঠে এলেন সালাহ।

এই জয়েই যেন উচলের কোয়ার্টার ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলো লিভারপুল।  ছবি- ইউরোস্পোর্ট