ফিলিস্তিনের ভূমধ্যসাগরের তীরে অবস্থিত গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকভূক্ত করেছে অস্ট্রেলিয়া।
বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যারেন অ্যান্ড্রুস।
অ্যান্ড্রুস বলেন, ‘হামাসের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সহিংস উগ্রপন্থী গোষ্ঠীসমূহের ব্যাপক সাদৃশ্য রয়েছে যা গভীরভাবে বিরক্তিকর ও উদ্বেগজনক। অস্ট্রেলিয়ায় তাদের ঘৃণাত্মক মতাদর্শের প্রচার কোনোভাবেই আমাদের কাম্য নয়। এজন্যই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
এর আগে ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসাম ব্রিগেডকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে তালিকাভূক্ত করেছিল অস্ট্রেলিয়ার সরকার, এবার পুরো দলকেই সন্ত্রাসী হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যারেন অ্যান্ড্রুজ জানান, আগামী এপ্রিল থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে; অর্থাৎ, আগামী এপ্রিল থেকে অস্ট্রেলিয়ার কোনো নাগরিক যদি হামাসের পক্ষে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো প্রচারণা চালান বা দলটিকে আর্থিক বা অন্য কোনো সহায়তা দিচ্ছেন— এমন প্রমাণ পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে ওই নাগরিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারবে দেশটির সরকার।
এ প্রসঙ্গে ক্যারেন অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘আমাদের আইন যে কেবল সন্ত্রাস বা সন্ত্রাসীদের দিকেই মনোযোগ দেয়, ব্যাপারটি এমন নয়; সন্ত্রাসীদের যারা মদত দেয়, তারাও অস্ট্রেলিয়ার আইনে সমান অপরাধী।’
‘সরকারের ঘোষিত কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনকে অর্থায়ন ও কোনো প্রকার সহায়তা প্রদানের প্রমাণ যদি কোনো নাগরিকের বিরুদ্ধে পাওয়া যায়, সেক্ষেত্রে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তার সর্বোচ্চ ২৫ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।’
এদিকে, অস্ট্রেলীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তের কঠোর নিন্দা জানিয়েছে হামাস। দলটির মুখপাত্র হাজেম কাসেম এই পদক্ষেপকে ইসরায়েলের প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অন্ধ সমর্থনের ‘সবচেয়ে স্পষ্ট প্রমাণ’ উল্লেখ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারিত্ব বন্ধে বর্তমানে যেসব আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে- অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ সে সবের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। ছবি সংগৃহীত