নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁচলঃ অবশেষে সাত মাসের বেশি সময় অপেক্ষার পর মালদা জেলা পরিষদে সভাধিপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি সেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কর্মাধ্যক্ষ নির্বাচন হবে ২৮ ফেব্রুয়ারি। নির্বাচনের জন্য ইতিমধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিয়েছে প্রশাসন। সোমবারই তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি পদে তাঁদের প্রার্থী এটিএম রফিকুল হোসেন।জেলা পরিষদের সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে রফিকুল সাহেবের সভাধিপতি হওয়া এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, এই প্রথম জেলা পরিষদের সভাধিপতি হতে চলেছেন উত্তর মালদহের চাঁচলের কোনও জনপ্রতিনিধি।তার নাম ঘোষণা হওয়ার পরেই খুশির মেজাজ চাঁচল জুড়ে। রফিকুল হোসেন কে সভাধিপতির পদে পেয়ে উৎফুল্ল দলের নেতা কর্মীরাও।মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতির আসনে এই প্রথম চাঁচল থেকে কেউ প্রতিনিধি বসতে চলেছেন। তাই মঙ্গলবার সকাল থেকেই দলীয় কর্মীরা ফুলের ঝুড়ি ও মিষ্টি নিয়ে হাজির তার বাড়িতে।
২০২১ সালের জুলাই মাসে সভাধিপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গৌরচন্দ্র মণ্ডল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন। মানিকচক কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থীও করে গেরুয়া শিবির। কিন্তু তৃণমূল প্রার্থী সাবিত্রী মিত্রের কাছে পরাজিত হন তিনি। তিনি সভাধিপতি পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এতদিন সেই পদের দায়িত্ব সামলে আসছেন বৈষ্ণবনগরের বিধায়ক চন্দনা সরকার। তিনি আবার জেলা যুব তৃণমূলের সভানেত্রীও। ফলে একসঙ্গে এতগুলি পদের দায়িত্ব সামাল দেওয়া তাঁর কাছে সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিরোধীরা তো বটেই, তৃণমূলের সদস্যদের মধ্যে থেকেও জেলা পরিষদে নতুন সভাধিপতি নির্বাচনের দাবি উঠতে শুরু করেছিল। অবশেষে তাঁদের সেই দাবি পূরণ হতে চলেছে।
বিশাল কোনও ঝড় না আসলে এটিএম রফিকুল হোসেনই যে মালদা জেলা পরিষদের পরবর্তী সভাধিপতি হতে চলেছেন তা নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই। তিনি চাঁচলের বাসিন্দা। জেলা পরিষদের কৃষি ও সেচ কর্মাধ্যক্ষ। পেশায় শিক্ষক রফিকুল সাহেব রাজনীতিতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্য জেলায় সুপরিচিত।