লড়াই শেষে ব্রাজিলের ক্লাব পালমেইরাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা নিজেদের করে নিলো চেলসি। চ্যাম্পিয়নস লিগের মতোই ক্লাব বিশ্বকাপের চেলসির জয়ের নায়ক কাই হাভার্টজ।
পালমেইরাসের সাথে জিততে বেশ ঘাম ছুটাতে হয়েছে চেলসিকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ডড় হয় ১-১ গোলে। সেখান থেকে অতিরিক্ত সময়ের খেলাও এগিয়ে যাচ্ছিলো শেষের দিকে। অনেকেই যখনই আরেকটি টাইব্রেকার দেখার প্রস্তুতি নিচ্ছে এমন মুহুর্তে চেলসির জয়ের নায়ক হয়ে আবির্ভাব হাভার্টজের।
সযুক্ত আরব আমিরাতের মোহাম্মদ বিন জায়েদ স্টেডিয়ামের ফাইনালে শুরু থেকে আধিপত্য বিস্তার করে খেললেও গোলের দেখা পায়নি চেলসি। প্রথমার্ধ্ব শেষ হয় গোলশূণ্য ভাবেই। দ্বিতীয়ার্ধ্বের ৫৫ মিনিটে প্রথম গোল আসে ফাইনালে।
হাডসন ওডোই বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেছিলেন। সেই ক্রসেই মাথা ছুঁয়ে চেলসিকে লিড এনে দেন বেলজিয়ান স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকু। সমতায় ফিরতে অবশ্য বেশি দেরি করেনি পালমেইরাস। ৬৪ মিনিটেই পেনাল্টি পেয়ে যায় ব্রাজিলের ক্লাবটি। সেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান রাফায়েল ভেইগা।
নির্ধারিত সময়ে এরপর আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ চালিয়েও গোল করতে আপারেনি কোনো দল। শেষ পর্যন্ত খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানেও গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে দুই দল। অতিরিক্ত সময়েরও প্রায় শেষের দিকে সবাই যখন ধরেই নিয়েছিলো ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা যাবে টাইব্রেকারের মাধ্যমে তখনই ১৭ মিনিটে পালমেইরাস খেলোয়াড়ের হ্যান্ডবলের কল্যাণে পেনাল্টি পায় চেলসি। পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসেন চেলসিকে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতানোর নায়ক কাই হাভার্টজ। গোলরক্ষককে উল্টো দিকে পাঠিয়ে গোল করে দলকে এবারও শিরোপা উল্লাসে ভাসাতে কোনো ভুল করেননি এই জার্মান।
আগে ২০১২ সালেও ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিলো চেলসি। সেবার আরেক ব্রাজিলিয়ান ক্লাব করিন্থিয়াসের কাছে ১-০ তে হেরে শিরোপা স্বপ্ন মাটি হয় তাদের। এবার আর সেই ভুল করেননি তারা।