‛ওপারের ডাক যদি আসে শেষ খেয়া হয় পাড়ি দিতে… মরণ তোমাকে কোনদিনও পারবে না কভু কেড়ে নিতে’– বাগদেবীর বরপুত্রীর মহাপ্রয়াণে শোকস্তব্ধ ভারত তথা সারা পৃথিবীর মনে এই গানটিই নাভিশ্বাস হয়ে বেজে উঠছে। শুধু রাজনৈতিক মহল নয় গোটা সিনে-বিশ্ব চরম উদ্বিগ্ন। বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (বিএমসি) কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল জানিয়েছেন যে প্রধানমন্ত্রী মোদি আজ বিকেল ৫:৪৫-৬:০০ টায় শেষকৃত্য স্থলে পৌঁছাবেন, তারপরে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্য প্রায় ৬:১৫-৬:৩০ টায় পরিচালিত হবে। হলও তাই।
View this post on Instagram
ইতিমধ্যে শোকমিছিল শুরু হয়ে গিয়েছে। লতাজি ভারত পতাকায় ঢেকে শায়িত রয়েছেন ফুলে আবৃত গাড়িতে। যে রাস্তা দিয়েই তাঁর গাড়ি চলেছে লোকে লোকারণ্য চারিদিক। মুম্বাই নাগরিক সংস্থার একজন কর্মকর্তার কথায়, পার্কের প্রায় ২,০০০ বর্গফুট জায়গা শ্মশানের জন্য ব্যারিকেড করা হয়েছে। কিংবদন্তি সংগীতশিল্পীর শেষকৃত্য দেখতে দুপুর ১টা থেকে পার্কে আসতে শুরু করে মানুষ।
View this post on Instagram
করোনা মহামারীর কথা ভুলে গিয়ে দিকবিদিক শূন্য, দিশেহারা মানুষ যেন নিজেদের পরম আরাধ্যা সরস্বতীকেই হারালেন।প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ডাঃ মনমোহন সিং-এর ভাষায় লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যু ভারতের জন্য একটি অপরিসীম ক্ষতি এবং সেই শূন্যতা পূরণ করা অসম্ভব।কেন্দ্রীয় সরকার কিংবদন্তি গায়কের মৃত্যুতে দুই দিনের “রাষ্ট্রীয় শোক” ঘোষণা করেছে। ভারত জুড়ে ৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে এবং এই সময়ের মধ্যে কোনও আনুষ্ঠানিক বিনোদন থাকবে না।
View this post on Instagram
ভারতরত্ন, পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কারের প্রাপক লতা মঙ্গেশকর ভারতীয় চলচ্চিত্রের একজন আইকন ছিলেন। তিনি হিন্দি চলচ্চিত্রের একটি বিস্তৃত তালিকার জন্য প্লেব্যাক গেয়েছিলেন। আইকনিক গানের মধ্যে রয়েছে দেশাত্মবোধক রচনা, “আয়ে মেরে বতন কে লোগো; গানটি, চীনের সাথে ১৯৬২ সালের যুদ্ধে মারা যাওয়া ভারতীয় সৈন্যদের স্মরণে। আজ এই গান তাঁর স্মরণে পাড়ার পাড়ায় বেজে উঠেছে। তিনি আজীবন হৃদয়ে থেকে যাবেন তাঁর শিল্পের মধ্য দিয়ে।
View this post on Instagram