কুমার শানু (Kumar Sanu) ও তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সালোনী (Saloni) র দত্তক কন্যা শ্যানন কুমার শানু (Shannon Kumar Sanu) বর্তমানে মার্কিন গায়িকা। নিজের গাওয়া ‘রিট্রেস’ গানের সূত্র ধরে তিনি হয়ে উঠেছেন তারকা। কাজ করেছেন হিমেশ রেশমিয়া (Himesh Reshmiya) র সঙ্গেও। খুব শৈশবে মায়ের সঙ্গে লন্ডনে শিফট হয়ে গিয়েছিলেন শ্যানন। সেখানে তিনি একটি মিউজিক স্কুলে ভর্তি হন। এবার বিদেশের মাটিতে বর্ণবৈষম্য নিয়ে মুখ খুললেন শ্যানন।
View this post on Instagram
মাত্র আঠারো বছর বয়সে তারকা হয়ে ওঠা শ্যানন একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, বাস্তব জীবনে তিনি অনেক মানসিক চাপের শিকার হয়েছেন। শৈশবে অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন তিনি। পাশ্চাত্য দেশগুলিতে প্রায়ই বর্ণবৈষম্যের শিকার হয়েছেন। তিনি অডিশন দিতে গেলে তাঁকে অসম্মানিত হতে হত। অত ছোট বয়সে তাঁর পক্ষে এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া অসম্ভব ছিল। ফলে তিনি প্রায়ই বাড়ি ফিরে কাঁদতেন। কখনও কখনও নিজের উপর আস্থা হারিয়ে ফেলতেন। নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি শিখেছেন, শিল্পীর পাশাপাশি বড় মাপের মানুষ হওয়া উচিত। তবে এখন তিনি এইসব ঘটনা সামলাতে জানেন। ভবিষ্যতে নিজের সঙ্গীতের মাধ্যমে বর্ণবৈষম্যৈর বিরুদ্ধে বার্তা দিতে চান শ্যানন। ভারতের বাইরেও ভারতীয় সংস্কৃতির প্রচার করতে চান শ্যানন।
View this post on Instagram
জাস্টিন বিবার (Justin Bibar) এর পপ সিঙ্গল ‘আ লং টাইম’-এর মাধ্যমে ডেবিউ করেন তিনি। সঙ্গীত প্রযোজক কাইল টাউনসেন্ড (Kail Townsend) এর সঙ্গে কাজ করেছেন শ্যানন। 2018 সালে ‘ওএমটি’ নামে একটি মিউজিক ভিডিওয় সোনু নিগম (Sonu Nigam) এর সঙ্গেও কাজ করেছেন দুই বছর বয়স থেকে কুমার শানুর কাছে গানের হাতেখড়ি শ্যাননের। ইচ্ছা রয়েছে বলিউডে প্লে-ব্যাক করার। তিনি লস অ্যাঞ্জেলেসে থাকার সময় হিমেশ তাঁকে ‘আজা’ গানটি পাঠান। করোনা অতিমারীর সময় গানটি রেকর্ড করলেও শ্যানন জানতেন না কবে গানটি মুক্তি পাবে। কিন্তু হঠাৎই গানটি রিলিজ করেন হিমেশ। ঘটনাচক্রে একই দিনে শ্যাননের ‘রিট্রেস’ মুক্তি পায়।