বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে তালেবান

Published By: Khabar India Online | Published On:

প্রকাশ্যে তালেবান শাসনের বিরোধিতা করার অভিযোগে আফগানিস্তানে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে তালেবান। এক ফেসবুক পোস্টে ওই শিক্ষাবিদের স্ত্রী এ দাবি করেছেন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেতে সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে তালেবান আবার ক্ষমতা দখলের পর থেকে বিশিষ্ট অধ্যাপক ফৈজুল্লাহ জালাল সামাজিক মাধ্যমে তাদের সমালোচনা করছিলেন।

তার স্ত্রী ফেসবুক পোস্ট করে জানিয়েছেন, অধ্যাপককে তালেবান আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছে। তার স্ত্রী জানান, অধ্যাপক ফৈজুল্লাহ জালালের স্বাস্থ্য কেমন আছে, তিনি কী রকম আছেন, কিছুই পরিবার জানে না।

আরও পড়ুন -  Ukraine: গ্রেপ্তার প্রধান বিচারপতি, ইউক্রেনের

কেন তাকে গ্রেপ্তার করা হলো, তাও সরকারিভাবে জানানো হয়নি।

তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, অধ্যাপক জালাল মানুষকে তালেবানি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে উসকানি দিচ্ছিলেন এবং তিনি মানুষের মর্যাদাহানি করছিলেন। জালাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করেছেন।

জালালের স্ত্রী অবশ্য দাবি করেছিলেন, ওইসব পোস্ট জাল। জালাল এরকম কোনো পোস্ট করেননি।

আরও পড়ুন -  T20 - World Cup: ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

তালেবান মুখপাত্র বলেন, জালালকে দেখে অন্যরাও যাতে এই ধরনের কাণ্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য না করেন, তা বোঝাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একজন অধ্যাপক, শিক্ষাবিদ এ রকম মন্তব্য করলে অন্যদের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হতে বাধ্য।

জানা যায়, অধ্যাপক জালাল তলেবান সরকারের ঘোর বিরোধী হিসেবে পরিচিত। তিনি সাবেক প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই এবং আশরাফ গানিকে নিয়েও খোলাখুলি নিজের মত জানিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন -  Ukrainian Military: ৬০ রুশ সেনা নিহত, ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীর হামলায়

২০২১ সালের নভেম্বরে তালেবান মুখপাত্র মুহাম্মদ নইমের সঙ্গে মতবিরোধে জড়িয়ে পড়েন জালাল। দুজনেই একটি টিভি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন।

সেখানেই তিনি তালেবানের নীতির তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি তালেবানের মুখপাত্রকে ‘বাছুর’ বলেও সম্বোধন করেন।

তালেবান-বিরোধীরা অধ্যাপক জালালের সাহস ও খোলাখুলি কথা বলার ক্ষমতার প্রশংসা করেন। অনেকে তাদের সামাজিক মাধ্যমে প্রোফাইল পিকচারে জালালের ছবিও রেখেছেন। ছবি: ডয়চে ভেলে।