দুই দলের কাছেই সুযোগ ছিলো ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের (ইপিএল) পয়েন্ট টেবিলে একে অন্যের থেকে এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু পারলো না কোনো লিভারপুল বা চেলসি কেউই। ম্যাচের প্রথমার্ধ্বে অবশ্য আভাস পাওয়া গিয়েছিলো তেমনই কিছুর। একে অন্যকে ছাপইয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে দুই দলই ছিলো দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
ম্যাচের প্রথমার্ধ্বেই লিবারপুলের দুই গোলে এগিয়ে যাওয়া, ম্যাচের আধা ঘন্টা না পেরোতেই চেলসির লাল কার্ড, আবার ১০ জনের দল নিয়েও চেলসির সমতায় ফেরা। কি ছিলোনা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের ম্যাচের বিরতিতে যাওয়ার আগে!
চেলসির চেয়ে এক পয়েন্টে পিছিয়ে থাকা লিভারপুল অবশ্য খেলা শুরু করেছিলো জেতার জন্যই। ম্যাচের ৯ মিনিটেই গোটা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজকে থমকে দিয়ে সাদিও মানের গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। চেলসি গোলরক্ষককে ফাকি দিয়ে অলরেডদের উল্লাসে ভাসান মানে। ২৬ মিনিটেই সেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লিভারপুলের এই মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মোহাম্মদ সালাহ।
এর ভিতরেই ম্যাচের ৩১ মিনিটে লাল কার্ড দেখে চেলসি সমর্থকদের কপালের ভাজ যেনো আরও বাড়িয়ে দেন ম্যাসন মাউন্ট। তবে প্রথমার্ধ্বের শেষের দিকে ৪২ মিনিটে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন মাতেও কোভাচিচ। দশজনের দল নিয়েই ইনজুরি টাইমে চেলসিকে সমতায় ফেরান ক্রিশ্চিয়ান পুলিশিচ।
প্রথমার্ধ্বের উত্তেজনায় ঠাসা ম্যাচ দ্বিতীয়ার্ধ্বে কিছুটা ম্যাড়ম্যাড়ে ভাবই ধারণ করে। নিজেদের মাঠে লিভারপুলকে হারাতে পারেনি অল ব্লুজরা। আর দশজনের চেলসির বিপক্ষেও নিজেদের জয়ের জন্য আর একটি গোল করতে পারেনি সালাহ-মানেরা।
২-২ গোলে সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচে অবশ্য সবচেয়ে লাভবান হয়ে ম্যানচেস্টার সিটি। লিগে এখন পর্যন্ত ২১ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিল টপার সিটিজেনরা। চেলসি-লিভারপুল দুই দলের কাছেই সুযোগ ছিলো আজকের ম্যাচ জিতে সিটির সাথে ব্যাবধান কমিয়তে আনার। তবে ড্র করে দুই দলই পেয়েছে ১ পয়েন্ট করে। সিটির সমান ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের ২ নাম্বারে চেলসি। আর এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুল ৪২ পয়েন্ট নিয়ে থাকলো টেবিলের ৩ নাম্বারে।