সপ্তাহের প্রথম দিনে এমসিএক্স সূচকে ১০ গ্রাম গোল্ড ফিউচার্সের দাম ০.০২ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৮,১৭২ টাকা। অন্যদিকে, এক কিলোগ্রাম রুপোর দাম বেড়ে ৬১,৩৩৫ টাকায় ঠেকেছে। তবে সপ্তাহের প্রথম দিনে কলকাতায় সোনার দামের সেরকম হেরফের হয়নি। সোনার আগের দামের পারদ সেই উর্ধ্বমুখীই রয়েছে। তবে কিছুটা স্বস্তি দিতে সোনার দামে সামান্য পতন হয়েছে।
সোমবার প্রতি ১০ গ্রামে ১৫০ টাকা দাম কমেছে ২২ ক্যারেট ও ২৪ ক্যারেট সোনার। কলকাতায় সোমবার ১০ গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমে হয়েছে ৪৭ হাজার ২৭০ টাকা। অন্যদিকে সোমবার ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ৪৯ হাজার ৯৭০ টাকা। তবে ১৫০ টাকা করে কমলেও বিয়ের মরশুমে খুব একটা স্বস্তি পায়নি সাধারণ মানুষের। হিসাব মতো দেখতে গেলে ৫০ হাজারের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করছে সোনার দাম। এদিকে শীতে বিয়ের মরশুম। তাই সোনার দামে সেরকম কোনো বিরাট পতন না হলে বিয়ের মরশুমে সোনা কেনা নিয়ে মধ্যবিত্তের কপালে কিন্তু সেই চিন্তার ভাঁজ থেকেই যাবে।
গত সপ্তাহেই শুক্রবার সোনার দাম অনেকটাই বেড়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি পরিসংখ্যানের জেরে বিশ্ব বাজার এবং ভারতীয় বাজারে ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে সোনার দাম। এর জেরে হলুদ ধাতুর দাম বেশ বেড়েছে। অন্যদিকে করোনা ভাইরাসের নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের আতঙ্ক। এরমধ্যে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভের অবস্থানের কারণে দাম লাফিয়ে বাড়ছে। অনেকে মনে করছেন বিশ্বের স্পট বাজারে এক আউন্স সোনার দাম ১,৮৬৫ ডলারে পৌঁছে যেতে পারে। সেখানে ভারতীয় বাজারে স্বল্পকালীন সময় ৪৯,৫০০ টাকার সর্বোচ্চসীমা ছুঁয়ে যেতে পারে হলুদ ধাতু।