ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভা প্রদেশে সেমেরু আগ্নেয়গিরির উদগীরণে মৃত্যু বেড়ে হয়েছে ২২। সোমবার পর্যন্ত এ ঘটনায় অন্তত ৩০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। সিঙ্গাপুর থেকে প্রকাশিত দ্য স্ট্র্যাইট টাইমস অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।
আগ্নেয়গিরিটির উদগীরণের পর এর আশাপাশের এলাকায় গলিত লাভার বন্যা দেখা দেয়। সেই সঙ্গে ধুম্র মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে চারপাশ।
উদ্ধারকারীরা গলিত লাভা থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করেন। জাভা দ্বীপের সর্বোচ্চ এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত শনিবার উত্তপ্ত লাভা বের হতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বের হয় ধোঁয়ার কুণ্ডুলি, যা আশপাশের গ্রামগুলো ঢেকে দেয়।
জাভা দ্বীপের লুমাজং জেলার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তা ড্যানিয়েল রিজা বলেন, সোমবার উদ্ধারকারীরা আগ্নেয়গিরির লাভার মধ্যে বেশ কয়েকটি মরদেহ খুঁজে পান। নিখোঁজের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
ড্যানিয়েল রিজা বলেন, আগ্নেয়গিরিটির উদগীরণের সময় নদীর পাশে বালু তোলার কাজে অনেক লোক ব্যস্থ ছিলেন। তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না।
চীনের বার্তাসংস্থা সিনহুয়াকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যে রিপোর্ট এসেছে তাতে ২২ জনের মৃত্যুর কথা জানা গেছে। ৩০ জনের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা যাচ্ছে না।’
ইন্দোনেশিয়ার ওই দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মকর্তা জানান, অগ্নুৎপাতের কারণে ১ হাজার ৭০০ জনের বেশি মানুষকে বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে। এতে হাজার হাজার বাড়িঘর, সেতু ও অবকাঠামো নষ্ট হয়ে গেছে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, বিস্তৃত এলাকা ঘন ছাইয়ে ঢাকা পড়ে আছে। তার মধ্যেই ভবনগুলো মাথা বের করে আছে। নিচের গ্রামগুলোতে সামরিক কর্মকর্তারা, পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা হাত দিয়ে ছাই, কাদা সরিয়ে আটকা পরা লোকজনকে উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
সেমেরু আগ্নেয়গিরি পর্যবেক্ষণাগারের প্রধান লিসওয়ান্তো বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার সবচেয়ে সক্রিয় আগ্নেয়গিরিগুলোর মধ্যে একটি এই সেমেরু। ৪ ডিসেম্বরের উদগীরণের আগেও এটি সক্রিয় ছিল, পরেও এর সক্রিয়তা বজায় আছে এবং থাকবে।’
ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ১৩০টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে। জাভা দ্বীপে ৩৬০০ মিটার উঁচু এ আগ্নেয়গিরি থেকে গত জানুয়ারিতেও উদগীরণ হয়েছিল।