যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুতই ছড়িয়ে পড়ছে। তবে প্রাথমিকভাবে তারা ইঙ্গিত পেয়েছেন যে, এটা (ওমিক্রন) হয়তো করোনার ডেল্টা ধরনের চেয়ে কম ভয়ঙ্কর। স্থানীয় সময় রবিবার বার্তাসংস্থা এপি এ খবর জানিয়েছে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি করোনা ভাইরাসের ধরন ডেল্টা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এ ধরন দ্রুতই করোনার অন্য ধরনগুলোর ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। ক্রমেই এটি করোনার প্রধান ধরন হিসেবে ছড়িয়ে পড়ে দেশে দেশে।
ডেল্টা এখন পর্যন্ত করোনার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ধরন হিসেবে পরিচিত। এর জেরে বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানী হয়েছে। করোনার এ ধরনটিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির হারও বেশি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রধান চিকিৎসা উপদেষ্টা ড. এন্থনি ফাউসি সিএনএনকে বলেন, ওমিক্রন কতোটা তীব্র, সে সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ মন্তব্য করে একটি ইতি টানতে হলে বিজ্ঞানীদের আরও তথ্যের প্রয়োজন হবে।
গত মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম ওমিক্রন শনাক্ত হয়। এর পরই এটি বিশ্বের অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্যে জানা গেছে, সেখানে দ্রুত গতিতেই বাড়ছে করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ।
ড. ফাউসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এটা মনে হচ্ছে না যে, এটাতে (ওমিক্রন) তীব্রতা অনেক বেশি।’ তিনি বলেন, ‘তবে ডেল্টার তুলনায় এটা কম তীব্র অথবা এটা প্রকৃত পক্ষে গুরুতর অসুস্থ করে না,এমন কিছু নিশ্চিত হয়ে বলার আগে আসাদের সতর্ক হতে হবে।’
ফাউসি জানান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও এর আশপাশের দেশগুলোর ওপর থেকে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার বিষয় নিয়ে বাইডেন প্রশাসন ভাবছে। ওমিক্রন শনাক্ত হওয়ার পর নতুন করে এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
রবিবার পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গরাজ্যে ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ে। এ রাজ্যগুলো হলো- উইসকনসিন, মিসৌরি ও লুসিয়ানা। সূত্র জানায়, এখনও যুক্তরাষ্ট্রে ডেল্টা সবচেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী করোনার ধরন। উত্তরাঞ্চলে হাসপাতালে ভর্তির ৯৯ শতাংশই ঘটাচ্ছে ডেল্টা।
যুক্তরাষ্ট্রে পুরো মহামারি পর্বে করোনায় প্রাণ গেছে ৭ লাখ ৮০ হাজার মার্কিনির। এখনও সেখানে এ ভাইরাস প্রতিদিন গড়ে প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে ৮৬০ জনের। রবিবার ৬ হাজার ৬০০ জনের বেশি মার্কিনিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছবি: এপি