Facebook: ফেসবুক, ক্রিপ্টো বিজ্ঞাপন নিষেধাজ্ঞা থেকে সরে আসছে

Published By: Khabar India Online | Published On:

গত বুধবার ফেইসবুক দীর্ঘস্থায়ী নীতিকে উল্টানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে যার ফলে বেশিরভাগ ক্রিপ্টোকারেন্সি কোম্পানিগুলো ফেইসবুকে বিজ্ঞাপন চালাতে পারবে না। ফেইসবুক পণ্যগুলির মাধ্যমে বিশ্বের যে কাউকে অনলাইনে অর্থ পাঠাতে কিপ্টোকারেন্সি ব্যবহার করা যেতে পারে। ফেইসবুক মেটা নামকরণের পর ক্রিপ্টোকারেন্সি চালু করার চেষ্টা করে এবং ব্যর্থ হওয়ার পরে এই পদক্ষেপ নেয়। ফেইসবুকের ক্রিপ্টোকারেন্সি ইফোর্টসের প্রধান ডেভিড মার্কাস মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, তিনি বছরের শেষের দিকে কোম্পানিটি ছেড়ে দেবেন।তবে পূর্বে, কোম্পানি বলেছিল, বিজ্ঞাপনদাতারা একটি আবেদন জমা দিতে হবে এবং এতে তাদের প্রাপ্ত লাইসেন্সসহ অন্যান্য তথ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তারা পাবলিক স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন করেছেন কিনা কিংবা তাদের ব্যবসার অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পাবলিক ব্র্যাকগ্রাউন্ড উল্লেখ করতে হবে। কোম্পানিটি ৩ থেকে ২৭ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রক লাইসেন্সের সংখ্যা প্রসারিত করছে।কোম্পানিটি এক বিবৃতিতে জানায়, আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ল্যান্ডস্কেপ ম্যাচিউর ও স্থিতিশীল হতে চলেছে। পাশাপাশি আরও বেশি সরকারি বিধিনিষেধ রয়েছে যা ইন্ডাস্ট্রির জন্য স্পষ্ট রুলস নির্ধারণ করছে।’

আরও পড়ুন -  ‘সিপিআইএম’ এর সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার হুঁশিয়ারি রাহুল-শ্রীলেখার ! কেন ?

কোম্পানি ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে ক্রিপ্টোকারেন্সি বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের মে মাসে সেই নিষেধাজ্ঞা কিছুটা পিছিয়ে দেয়। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন ফিল্ডের স্টার্ট-আপগুলো ফেইসবুক ও ইন্সট্রাগ্রামে তাদের কাজ প্রচার করতে ও সম্ভাব্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। ফেসবুকের স্মল বিজনেস টিমের একজন প্রাক্তন কর্মচারী বলেন, ‘কোম্পানির নতুন নীতি ক্রিপ্টো শিল্পের জন্য বিশাল। এটি আগের চেয়ে আরও বেশি খুচরা বিনিয়োগকারীদের ক্রিপ্টোকারেন্সি অ্যাক্সেস করার অনুমতি দেবে।‘

আরও পড়ুন -  Writing On The Wall: 14 নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন

ফেসবুকের আরেক প্রাক্তন কর্মী এমাদ হাসান বলেছেন, নতুন নীতিটি ব্লকচেইনে কাজ করা স্টার্ট-আপদের জন্যও আশীর্বাদ।ফেইসবুক গত বছরে উল্লেখ্যযোগ্যভাবে কিপ্টোকারেন্সিতে তার নিজস্ব এম্বিশনে ফিরে গিয়েছে। ২০১৯ সালে কারেন্সি ও একটি ডিজিটাল ওয়ালেটের পরিকল্পনার রূপরেখা দেওয়ার পরে ফেইসবুক বিশ্বব্যাপী আইন প্রণেতা এবং নিয়ন্ত্রকদের কাছ থেকে কঠোর প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল। অবশেষে গত অক্টোবরে কোম্পানিটি তার ডিজিটাল ওয়ালেট পণ্য “নোভি” প্রকাশ করেছে। তবে ডিজিটাল কারেন্সি ‘ডাইম’ জনসাধারণের কাছে অপ্রকাশিত রয়ে গেছে।  সূত্র: ইন্টারনেট।

আরও পড়ুন -  Hackers: হ্যাকারদের নজরে বাংলাদেশের ফেসবুক ব্যবহারকারীরা