টুঙ্কা সাহা, আসানসোলঃ কিশোরের রহস্যময় অন্তধান, দুর্গাপুরে আতঙ্ক। পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ স্থানীয়দের। রহস্যময় এই অন্তধান নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন।
ছট পুজোয় দুর্গাপুরে মামার বাড়িতে ঘুরতে এসে রহস্যজন কি ভাবে নিখোঁজ হয়ে গেল ১৪বছরের এক কিশোর।
অনুরাগ যাদব নামে ঐ কিশোর ছট পুজোর সময় বাবা মায়ের সাথে দুর্গাপুরে মায়াবাজারের কদমতলায় তার মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল, চলতি মাসের ষোলো তারিখ সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা নাগাদ ঘরের সামনে খেলতে খেলতে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়।
এরপর স্থানীয় ডি. টি. পি. এস ফাঁড়িতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখনো পর্যন্ত বছর চোদ্দর ঐ কিশোরের খোঁজ মেলেনি।
বিহারের দেহঘর থেকে দুর্গাপুরে মামার বাড়িতে ঘুরতে এসেছিল অনুরাগ।পরিবারের অভিযোগ, এলাকায় দুটি সিসিটিভি রয়েছে কিন্তু রহস্যজনকভাবে ষোলো তারিখ সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা থেকে রাত্রি ন টা পর্যন্ত সিসিটিভি বন্ধ ছিল, কেন এই ঘটনা সেই ব্যাপারে প্রশ্ন তোলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও অনুরাগের পরিবার পরিজনরা। পুলিশ যদি কোনো সদর্থক ভূমিকা না নেয় প্রয়োজনে তারা ধর্নায় বসবেন বলে হুশিয়ারী দিয়েছেন।
গত ২০১৮ সালের ১৮ই সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরের মায়াবাজারের কদমতলা এলাকা থেকে একই ভাবে খেলতে খেলতে বছর চোদ্দর এম. ডি সাহাদর নামে এক কিশোর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়, পরের দিন ১৯তারিখ দুর্গাপুর ব্যারেজের পাঁচ নম্বর গেট থেকে এই কিশোরের দেহ উদ্ধার হয়। ঠিক এরপরপরই অনুরাগের রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় এলাকা জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
এই ঘটনায় পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের বঙ্গজননীর কার্যকরী সভানেত্রী লক্ষী মাহাতো জানান, আমাদের কাছে এই খবর আসা মাত্রই আমরা পুলিশকে সব জানিয়েছি, এখন পুলিশ কি করে দেখা যাক। স্থানীয় ৩৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তথা দুর্গাপুর নগর নিগমের পাঁচ নম্বর বোরো চেয়ারম্যাম লোকনাথ দাস জানিয়েছেন পুলিশকে সব জানানো হয়েছে, বলা হয়েছে তৎপরতার সাথে বিষয়টি দেখার জন্য। গোটা ঘটনায় এখন দুর্গাপুরের মায়া বাজারের কদমতলা এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে,এই এলাকার বেশিরভাগ রুটি রুজির সন্ধানে বাচ্চাকে ঘরে রেখেই বাইরে কাজে বেরোয়, এখন পরপর দুই ঘটনায় এখানকার স্থানীয় মানুষজন বেশ আতঙ্কে দিন কাটাছেন ।