বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও ভূ-বিজ্ঞান দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত এবং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, কর্মী, জন-অভিযোগ, পেনশন, পারমাণবিক শক্তি ও মহাকাশ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ডা. জিতেন্দ্র সিং ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ তরুণ উদ্ভাবকদের জন্য প্রথম মেন্টরশিপ কর্মসূচির সূচনা করেছেন।
ডা. সিং বলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের যুব সম্প্রদায় সহ জনসাধারণের মধ্যে বিজ্ঞানমনস্কতা গড়ে তুলতে, বিজ্ঞানের গবেষণা ও উদ্ভাবনে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের প্রতিটি জেলায় একটি করে স্টার কলেজ গড়ে তোলা হবে। জৈব প্রযুক্তি দপ্তরের সহায়তায় এই কর্মসূচিতে কর্মশালা, প্রতি মাসে একটি করে বৈঠক এবং গ্রামাঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া অঞ্চলের কলেজগুলির জন্য বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হবে। এর ফলে, নতুন কলেজগুলি স্টার কলেজ প্রকল্পের আওতায় আসার সুযোগ পাবে। স্টার কলেজ কর্মসূচিতে জৈব প্রযুক্তি দপ্তর দেশজুড়ে স্নাতক পর্যায়ের বিজ্ঞান পাঠক্রমকে শক্তিশালী করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। আজকের কর্মসূচির সূচনা অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ বছরে দেশজুড়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উদ্ভাবনে সাহায্য করতে এই কর্মসূচি সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বাধীনতার দিবসের ভাষণের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, ইতিমধ্যেই দেশে ২৭৮টি স্নাতক স্তরের কলেজ এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে গ্রামাঞ্চল এবং শহরাঞ্চলের মধ্যে যাতে কোনও পার্থক্য না থাকে, সেদিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। গ্রামাঞ্চলের ৫৫টি কলেজ এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলাগুলির ১৫টি কলেজ দু’বছরের মধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় আসায় মন্ত্রী সন্তোষপ্রকাশ করেন।
ডা. সিং বলেন, বিগত পাঁচ বছর ধরে দেশের ১.৫ লক্ষ ছাত্রছাত্রী স্টার কলেজ কর্মসূচিতে লাভবান হচ্ছেন। এই কর্মসূচির আওতায় কলেজগুলিতে গবেষণার বিভিন্ন সরঞ্জাম কেনা, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং গবেষণাগারের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া, বিশিষ্ট বিজ্ঞানীদের বক্তৃতামালার আয়োজন করা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প সংস্থা ঘুরে দেখার মতো নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়। সর্বাঙ্গীণ এই উদ্যোগের ফলে ছাত্রছাত্রীরা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করতে উৎসাহিত হন। তিনি আরও বলেন, স্টার কলেজ কর্মসূচির আওতায় জৈব প্রযুক্তি, জৈব প্রযুক্তিগত শিল্প সংস্থাগুলিতে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, গবেষণা এবং ফেলোশিপ কর্মসূচিতে সাহায্য করা এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। সূত্রঃ পিআইবি