৭০ শতাংশ সমর্থন নিয়ে নরেন্দ্র মোদি অনেক পিছনে ফেলেছেন জো বাইডেন, অ্যাঞ্জেলা মর্কেল, বরিস জনসন, জায়ের বলসোনারো, ইমানুয়েল ম্যাক্রোর মতো শক্তিশালী রাষ্ট্রনেতাদের।
জনপ্রিয় রাষ্ট্রনেতা মনোনয়নের সমীক্ষাটি চালিয়েছে মার্কিন সংস্থা ‘মর্নিং কলসাল্ট’৷ সংস্থাটি কয়েকশো কোটি ডলারের তথ্য বিশ্লেষণের কাজ করে থাকে। প্রতি সপ্তাহে এরা বিশ্বের ১৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের জনপ্রিয়তা নিয়ে পরীক্ষা করে থাকেন। গত শনিবার এই সংস্থা তাদের সমীক্ষার যে ফল প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই সপ্তাহে জনপ্রিয়তার নিরিখে বিশ্বে এক নম্বর স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এই সপ্তাহে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর অ্যাপ্রুভাল রেটিং হল ৭০ শতাংশ। উল্লেখ্য ২০১৯ সাল থেকে মর্নিং কনসাল্ট যখন প্রথম এই সমীক্ষা শুরু করেন তখন থেকেই প্রধানমন্ত্রী মোদির অ্যাপ্রুভাল রেটিং ৬০ শতাংশের উপরেই রয়েছে।
রাষ্ট্রনেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদির পরই রয়েছেন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি লোপেজ ও’ব্র্যাডর। এই সমীক্ষায় মোদিকে ৭০ শতাংশ মানুষ সমর্থন করেন। দু’নম্বরে থাকা লোপেজের প্রতি মানুষের সমর্থনের হিসাব হল ৬৬ শতাংশ। কিছুটা হলেও সমর্থন বেড়েছে ও’ব্র্যাডরের। এই সমীক্ষায় তৃতীয় স্থান দখল করেছে ইটালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি । আর চতুর্থ স্থানে জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল । তাঁর প্রতি ৫৪ শতাশ মানুষের সমর্থন রয়েছে। আর ৪৭ শতাংশ মানুষের সমর্থন নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন পঞ্চম স্থান অধিকার করেছেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ৪৫ শতাংশ সমর্থন নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে জায়গা করেছেন। আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ৪৪ শতাংশ মানুষের সমর্থন নিয়ে নেমে গিয়েছেন সপ্তম স্থানে। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তর পর বাইডেনের জনসমর্থন কমিয়ে দিয়েছে।
৭০ শতাংশ সমর্থন পাওয়া মানে হল মোদির সরকারের দেশ চালনার নীতিগুলোকে সমর্থন করছে বিশ্বব্যাপী ৭০ শতাংশ মানুষ। প্রশ্ন হল হঠাৎ কীভাবে বিশ্বে মোদির এইভাবে জনপ্রিয়তা বাড়ল? ম্প্রতি জি-২০ সম্মেল এবং গ্লাসকো জলবায়ু সম্মেলনে যেভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে মোদির বক্তব্য আর একাত্মবোধ নিয়ে কাজের কথা বলা হয়েছে।