শাক সবজি মাছ মাংসের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে উঠেছে। এই সময় পেঁয়াজ থেকে আলু সব কিছুই দাম যেনো আকাশ ছোঁয়া। প্রায় ৪০% বেড়েছে শাক-সবজির দাম! বেড়েছে আলু, আদা, পেঁয়াজ, পটল, টমেটোর দামও। পাশাপাশি দেশজুড়ে ঊর্ধ্বমুখী তেল ও রান্নার গ্যাসের দাম তো আছে।
আজ ভাই ফোঁটা। অনেকে ভেবেছিলেন এবার বোধহয় বাজারে শাক,সবজি,মাছ,মাংসের দাম কমবে। তাহলে পাতপেড়ে নিজেদের প্রিয় ভাই–দাদাকে ডেকে ভাইফোঁটা দিয়ে প্রিয় খাবার রেঁধে খাওয়াবে। কিন্তু সেই ভাবনার সঙ্গে আজ বাস্তবের মিল খুঁজে পেলেন না সাধারণ মানুষ। সকালে বাজারের থলি নিয়ে হাজির গিয়ে শনিবার বাজারে যে জিনিসেই হাত দিয়েছেন মানুষ তাতে হাত পুড়েছে। অগ্নিমূল্য বাজারদরে নাভিশ্বাস উঠেছে মধ্যবিত্তের।
আজ ভাতৃদ্বিতীয়ার আগে গতকাল থেকেই বাজারে দেদার দাম বেড়েছে সব কিছুর। সবজি থেকে মাছ–মাংস সবেরই দামে ছ্যাঁকা খেতে হচ্ছে খেটে খাওয়া মানুষকে। শুধু কালীপুজো ভাইফোঁটা নয়, দুর্গাপুজো লক্ষ্মীপুজোর আগেও বেড়েছিল শাক সবজির দাম। এবার ভাইফোঁটা উপলক্ষ্যে সেটা চড়েছে চরমে। সকলের প্রশ্ন এত দাম বাড়ার কারণ কী?
বাজার আগুন হওয়ার পিছনে আরো দাম বৃদ্ধির কারণ হল পেট্রোল–ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই শাক সব্জির পরিবহণের খরচ বেড়ছে। তাতে শাক–সবজি–মাছ বাজারে নিয়ে আসা হচ্ছে অন্য জায়গা থেকে সেখানে অনেক খরচ হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। আর ক্রেতাকে ভুগতে হচ্ছে এই মূল্যবৃদ্ধি। আর এই জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনটা কিনলে বাজেটে কুলোবে, সেটা ভাবতেই অস্থির হচ্ছেন সক্কলে। অনেকেই বাজারে খালি থলি নিয়েই যাচ্ছেন তবে জিনিসের দাম দেখে না কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন তাঁরা।
আলু– প্রতি কেজির দাম ১৮ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২২ টাকা। পেঁয়াজ– প্রতি কেজির দাম ৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা। পটল– প্রতি কেজির দাম ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। বেগুন– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০ টাকা। টম্যাটো– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১০০ টাকা। কাঁচালঙ্কা– প্রতি কেজির দাম হয়েছে ২০০ টাকা। বাঁধাকপি– প্রতি কেজির দাম ৬০ টাকা। ফুলকপি– প্রতি পিস ৪০ টাকা।