Dhanteras Is Celebrated: দীপাবলীর আগেই দেশ জুড়ে পালিত হয় ধনতেরাস, পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে

Published By: Khabar India Online | Published On:

 কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরাস পালন করা হয়। এই উৎসব ধনত্রয়োদশী বা ধন্বন্তরী জয়ন্তী নামেও খ্যাত। ধনতেরাস শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল- ‘ধন’ শব্দের অর্থ সম্পত্তি এবং ত্রয়োদশী অর্থাৎ ১৩-তম দিন। হিসেব অনুযায়ী, কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ১৩-তম দিনে পালিত হয় ধনতেরাস। বিশেষ দিনে সকলে সোনা, রূপা কিংবা যে কোনো ধরনের ধাতব দ্রব্য কিনে ঘরে নিয়ে আসেন কারণ আজকের দিনে যে কোন ধাতব ও বস্তু ক্রয় করার শুভ বলে মনে করা হয়। সকলের বিশ্বাস যে, ধনতেরাসের দিন ঘরে ধাতব দ্রব্য ক্রয় করলে সারা বছর গৃহে আর্থিক তথ্য ধনসম্পত্তির সমৃদ্ধি বজায় থাকে। এই বিশেষ তিথিকে ঘিরে রয়েছে পৌরাণিক কাহিনী। জেনে নেওয়া যাক।

আরও পড়ুন -  নবপত্রিকার স্নান

কথিত আছে, রাজা হিমার ১৬ বছরের ছেলের এক অভিশাপ ছিল। তার কুষ্টিতে লেখা ছিল, বিয়ের চার দিনের মাথায় সাপের কামড়ে তার মৃত্যু হবে। তার স্ত্রীও জানত সেই কথা। তাই সেই অভিশপ্ত দিনে সে তার স্বামীকে দিন ঘুমোতে দেয়নি। শোয়ার ঘরের বাইরে সে সমস্ত গয়না ও সোনা-রূপার মুদ্রা জড়ো করে রাখে। সেই সঙ্গে সারা ঘরে বাতি জ্বালিয়ে দেয়। স্বামীকে জাগিয়ে রাখতে সে সারারাত তাকে গল্প শোনায়, গান শোনায়। পরের দিন যখন মৃত্যুর দেবতা যম তাদের ঘরের দরজায় আসে, আলো আর গয়নার জৌলুসে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে যায়। রাজপুত্রের শোয়ার ঘর পর্যন্ত তিনি পৌঁছন ঠিকই। কিন্তু সোনার উপর বসে গল্প আর গান শুনেই তাঁর সময় কেটে যায়। সকালে কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই চলে যান তিনি।

আরও পড়ুন -  ১ ফেব্রুয়ারি থেকে হবে নতুন নিয়ম, পেনশন প্রকল্পে টাকা তোলার

রাজপুত্রের প্রাণ বেঁচে যায়। পরদিন সেই আনন্দে ধনতেরাস পালন শুরু হয়।

অপর এক পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই তিথিতেই সমুদ্রমন্থনের সময় হাতের অমৃত কলস নিয়ে প্রকট হয়েছিলেন দেবী ধন্বন্তরী। কথিত রয়েছে, ইন্দ্রের দুর্ব্যবহারের কারণে ক্ষুব্দ হয়ে যান মহর্ষি দুর্বাসা। তারপর ত্রিলোক শ্রীহীন হওয়ার অভিশাপ দেন। তাঁর অভিশাপে দেবী অষ্টলক্ষ্মী গমন করেন নিজের লোকে ।এমন অবস্থায় সমস্ত দেবতারা মহাদেবের দ্বারস্থ হন এবং ত্রিলোকে শ্রীহীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করার জন্যে তাঁর কাছে প্রার্থনা করেন। জগত সংসারে পুনরায় শ্রী প্রতিষ্ঠার জন্য মহাদেব সমুদ্রমন্থন করার পরামর্শ দেন। সমুদ্র মন্থনের ফলে ১৪ টি রত্নের উৎপত্তি হয়। চতুর্দশ রত্ন হিসেবে প্রকট হয় স্বয়ং অমৃত কলশধারী ধন্বন্তরী। তার ঠিক দুই দিন পরেই দেবী লক্ষ্মী প্রকট হয়। সেই কারণে ধনতেরাসের দুইদিন পর দীপাবলির দিন ঘরে ঘরে দেবী লক্ষ্মী পূজিত হওয়ার রীতি প্রচলিত রয়েছে।

আরও পড়ুন -  Open Navel: ক্রপ টপ-শর্ট, উন্মুক্ত নাভি, বাড়ির ছাদে তুমুল নাচ ‘মা’-খ্যাত ঝিলিকের, ভিডিও দেখুন