বুধবার দ্বিতীয় দফায় হাই কোর্টে উঠল আরিয়ান খানের জামিনের আবেদনের শুনানি, কিন্তু আজও জামিন মিলল না। দুপুর ৩.৫০ নাগাদ শুরু হয়েছিল আরিয়ান-আরবাজদের জামিনের আবেদনের শুনানি। ডিফেন্সের তরফে নিজেদের পক্ষ কথা বলতেই দেড় ঘন্টারও বেশি সময় পার করে যায়। এরপরই আজকের মতো শুনানি স্থগিত করে দেন বিচারপতি নীতিন সাম্বরে।
গত মঙ্গলবার আরিয়ানের জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবি বম্বে হাইকোর্টে বিচারপতিকে জানান যে, আরিয়ানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের যোগাযোগ রয়েছে। শাহরুখ পুত্র শুধুমাত্র মাদকদ্রব্য সেবনই করে না, পাশাপাশি মাদক দ্রব্য কেনা বেচা করেন। আরিয়ান যদি এই মুহূর্তে জামিন পান তাহলে সে সাক্ষীগুলি লোপাট করতে পারে।
রিমান্ডে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাট নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকার অভিযোগ দায়ের করেছেন শাহরুখ পুত্রের আইনজীবী মুকুল রোহাতগি। পাশাপাশি জানান অ্যারেস্ট মেমোতে আরিয়ানকে গ্রেফতার করার সঠিক কারণ ব্যখ্যা করা নেই। তিনি আরিয়ানের সপক্ষে বলেন, ‘ইভেন্ট ম্যানেজার প্রতীক গাবার আমন্ত্রণে আরিয়ান ২ অক্টোবর মাদক পার্টিতে গিয়েছিলেন। একটি বিজ্ঞাপনের কারণে ২ অক্টোবর প্রতীকের অনুরোধে এই পার্টিতে যান আরিয়ান ও আরবাজ। মাদক পার্টি শুরু করার আগেই আটক করা হয় আরিয়ান,আরবাজ আর মুনমুনকে। আর সেদিন আরিয়ানের কাছ থেকে কোনও রকমের মাদক পায়নি এনসিবি। তাই আরিয়ানকে গ্রেফতার করার কোনও কারণই তিনি দেখতে পারছেননা।
এরপর ৩ অক্টোবর গ্রেফতার করা হয় আরিয়ানকে। পাশাপাশি রেকর্ড করা হয় স্টেটমেন্ট। এদিন শাহরুখ পুত্রের কোনওরকম মেডিক্যাল টেস্ট করা হয়নি। এই দিন তিনি কোর্টে প্রশ্ন রাখেন মেডিক্যাল টেস্ট ছাড়া কীভাবে মাদক মামলা ফাইল করা সম্ভব। এরআগে অনেক পিটিশনে তিনি আবেদন করেন কিন্তু তা খারিজ হয়ে যায়। আরবাজের জুতো থেকে ছয় গ্রাম মাদক পাওয়া গেছে তার জন্য আরিয়ানকে দায়ী করা সঠিক নয়। পাশাপাশি এফআইআর শিটে আরিয়ানের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করার কোনও উল্লেখই নেই। অন্যদিকে তাঁকে আটক করার পরই মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল। এদিন মুকুল রোহাতগি বলেন, মাদক নয়, শুধুমাত্র ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে আরিয়ানকে গ্রেফতার করেছে এনসিবি।